১৩৬ আসন জিতে হাতের মুঠোয় কর্নাটক। নির্বাচনের ফলাফলের পরেই দক্ষিণের রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। লড়াই মূলত দু’জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। তবে দলীয় সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত না হলেও শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়েছে। কংগ্রেসেই আস্থা রাখল কর্নাটকবাসী । একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই দক্ষিণী রাজ্যে সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। ম্যাজিক ফিগার ছিল ১১৩। ২২৪ টি আসনের মধ্যে ১৩৬ টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস । ৬৫ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি ।
কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বাসবরাজ বোম্মাই । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হবেন কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ? শিবকুমারের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’-র কথাও সকলের জানা । শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস কাকে বেছে নেয়, সেই নিয়েই চলছে চাপানউতোর ।
সূত্রের খবর , বৃহস্পতিবার (১৮ মে) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছাড়াও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হলেও কে হবেন রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? সকলেরই নজর এখন সেদিকেই।
কংগ্রেস মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে, সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিং এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবরিয়াকে পর্যবেক্ষক হিসাবে বেছে নিয়েছে। রবিবার (১৪ মে) কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠক ডাকে। সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৈঠক চলাকালীন সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের সমর্থকরা হোটেলের বাইরে স্লোগান তোলেন। ডি কে শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে যে 'মুখ্যমন্ত্রীত্বের জন্য আমাদের ৭৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে'।
এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সামনে দুটি বিকল্প। ডি কে শিবকুমার এবং অন্যজন সিদ্দারামাইয়া। দু-একদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারে দল এমনটাই খবর। এর আগে ডিকে শিবকুমার একটি বড় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। একই সময়ে, তিনি সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গেওতিনি বিবাদের খবর অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার এবং সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে কোন বিবাদ নেই। আমি দলের জন্য আত্মত্যাগ করেছি এবং সিদ্দারামাইয়ার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি সবসময় তাকে সমর্থন করেছি'। দলের তরফে শেষ পর্যন্ত ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাছা হয় সেটাই দেখার।