বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণের সময় বেনজির বিক্ষোভ বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন বলে অভিযোগ তুলে অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের। পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে পুলিশ প্রশাসনকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আবারও হট্টগোল বিধানসভায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় তাঁর জবাবি ভাষণ দিতে শুরু করার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়েলে নেমেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা।
পরে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ''পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে তৃণমূল। বাংলার পুলিশ পার্টি ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। তাহেরপুরের ওসি বদল তারই প্রমাণ। বিধানসভায় কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিলর খুন থেকে আনিস হত্যার প্রসঙ্গ তুললেই বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। জবাবি ভাষণের সময় ব্যক্তিগত আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।''
আরও পড়ুন- ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে SIT গঠন, নেওয়া হতে পারে CID-র সহায়তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষে এদিন বিরোধী দলনেতার আরও তোপ, ''মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি দিল্লির নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করালে উনি হারবেন। সরকারি দল পরিকল্পিতভাবে বিধানসভায় হট্টগোল করছে। প্রতিহিংসার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশালীন ভাষার ব্যবহার করছেন। বক্তব্য রাখতে গেলে একাধিকবার বাধা দেওয়া হয়েছে। বাংলায় শাসকের আইন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারীকে ছুঁয়ে দেখান।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় সরকার চালাচ্ছেন বলে তোপ দেখে এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, ''বিধানসভায় বলতে গেলেই বাধা দেয় তৃণমূল। বিরোধীদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, এবার এই রাজ্যেও তা হবে।''