পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলাগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই হুগলির তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সরব হলেন ব্যক্তি আক্রমণের বিরুদ্ধে। মুখে নাম না নিলেও তৃণমূলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতার নিশানায় যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত কয়েক মাস ধরেই শুভেন্দু-তৃণমূল ব্যবধান চওড়া হয়েছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামে ১০ই নভেম্বর অরাজনৈতিক সভা থেকে তোপ দেগেছিলেন মন্ত্রী। চোখা চোখা সেই বাক্যবাণ দলীয় নেতৃত্বকেই উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে ছিলেন তিনি। ওই দিনই পাল্টা সভা করে তাঁকে বেঁধেন ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা। শাসক দলের নেতাদের আক্রমণ, পাল্টা তোপ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
সেই সভার দু'দিনের মধ্যেই হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন হয়েছিল। আজকে অনেক বড় হতে পারেন। কিন্তু বড় হলেন কার ছায়ায়, সেটাই বড় ব্যাপার।' এখানেই থামেননি তিনি। বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।'
গত এক সপ্তাহ ধরে দলের সাংসদের এই কটাক্ষ নিয়ে টু শব্দটি না করলেও এদিন বলাগড়ে মতুয়াদের সভায় গিয়ে জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ছিল, 'আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসু যখন কাউকে আশালীন কথা বলতেন তখন হুগলির মানুষ মেনে নেয়নি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও অশালীন আচরণ করেন তবে কী আপনারা মেনে নেবেন?' জনতা সোচ্চারে 'না' বলেই মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কি এই কালচার সমর্থন করেন?' জনতা ফের একবার 'না' বলতেই ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ ছাড়েন তৃণমূল বিধায়ক।
শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের বক্তব্যের পর এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সেদিন ওঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খেয়াল করেছেন? ওটা বিদ্যাসাগরের মাটির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল না। একটা সময় ছিল যখন ওখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁরও অহঙ্কার ছিল। তাঁর অহঙ্কার চূর্ণও হয়েছে। যাঁরাই অহঙ্কার করবে, তাঁদেরই দর্পচূর্ণ হবে। তা ছাড়া, আমি আমার বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে আসিনি।'
ভোট আসছে। শাসক-বিরোধী তরজা জমছে। তবে তা ছাপিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূলের অভ্যন্তরীন দড়ি টানাটানি। এদিনের ঘটনা তাতেই বাড়তি ইন্ধন দিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
হুগলিতে দাঁড়িয়েই কল্যাণকে তোপ শুভেন্দুর
বলাগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই হুগলির তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
Follow Us
পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলাগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই হুগলির তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সরব হলেন ব্যক্তি আক্রমণের বিরুদ্ধে। মুখে নাম না নিলেও তৃণমূলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতার নিশানায় যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত কয়েক মাস ধরেই শুভেন্দু-তৃণমূল ব্যবধান চওড়া হয়েছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামে ১০ই নভেম্বর অরাজনৈতিক সভা থেকে তোপ দেগেছিলেন মন্ত্রী। চোখা চোখা সেই বাক্যবাণ দলীয় নেতৃত্বকেই উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে ছিলেন তিনি। ওই দিনই পাল্টা সভা করে তাঁকে বেঁধেন ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা। শাসক দলের নেতাদের আক্রমণ, পাল্টা তোপ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
সেই সভার দু'দিনের মধ্যেই হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন হয়েছিল। আজকে অনেক বড় হতে পারেন। কিন্তু বড় হলেন কার ছায়ায়, সেটাই বড় ব্যাপার।' এখানেই থামেননি তিনি। বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।'
আরও পড়ুন- এআইএমআইএম-র নজরে বাংলা, আশার আলো গেরুয়া শিবিরের
গত এক সপ্তাহ ধরে দলের সাংসদের এই কটাক্ষ নিয়ে টু শব্দটি না করলেও এদিন বলাগড়ে মতুয়াদের সভায় গিয়ে জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ছিল, 'আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসু যখন কাউকে আশালীন কথা বলতেন তখন হুগলির মানুষ মেনে নেয়নি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও অশালীন আচরণ করেন তবে কী আপনারা মেনে নেবেন?' জনতা সোচ্চারে 'না' বলেই মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কি এই কালচার সমর্থন করেন?' জনতা ফের একবার 'না' বলতেই ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ ছাড়েন তৃণমূল বিধায়ক।
শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের বক্তব্যের পর এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সেদিন ওঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খেয়াল করেছেন? ওটা বিদ্যাসাগরের মাটির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল না। একটা সময় ছিল যখন ওখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁরও অহঙ্কার ছিল। তাঁর অহঙ্কার চূর্ণও হয়েছে। যাঁরাই অহঙ্কার করবে, তাঁদেরই দর্পচূর্ণ হবে। তা ছাড়া, আমি আমার বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে আসিনি।'
ভোট আসছে। শাসক-বিরোধী তরজা জমছে। তবে তা ছাপিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূলের অভ্যন্তরীন দড়ি টানাটানি। এদিনের ঘটনা তাতেই বাড়তি ইন্ধন দিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন