অভিজ্ঞতা এবং জায়ান্ট কিলার, এই দুই মাপকাঠি এগিয়ে রাখল শুভেন্দু অধিকারীকে। বঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীই। শনিবারেই কিছুটা নিশ্চিত হয়েছিল দৌড়ে কে এগিয়ে। এদিকে, বঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বাছতেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ভরসা রেখেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি।
সোমবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। হেস্টিংস অফিসে সকাল ১১টা শুরু হয় সেই বৈঠক। সেখানে দলের ৭৭ জন বিধায়ককে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। এমনটাই সুত্রের খবর। সেই বৈঠকের পরে রবিশঙ্কর জানান, বিধানসভায় দলের নেতা এবং বিরোধী দলনেতা হিসেবে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নাম প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছিল। দলের বিধায়ক তথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন। ওই নামে আরও ২২ জন বিধায়ক সমর্থন করেন। বাকি বিধায়করা কোনও নাম প্রস্তাব করেননি। তাই শুভেন্দুকেই দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হল। এদিন অবশ্য হেস্টিংস অফিসে ঢোকার আগেই নিজেকে দৌড় থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মুকুল রায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে তাই এত গুরুদায়িত্ব সামলাতে পারব না।‘ রাজ্য বিজেপির অন্দরে খবর ছিল, লড়াকু এবং আক্রমণাত্মক এক মুখের খোঁজ করছে বিজেপি।
সেই মুখের খোঁজই এদিন পেলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং ভুপেন্দ্র যাদব। সুত্রের খবর, মুকুল দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাঁকে সাংগঠনিক কাজও দেখতে হবে। তা ছাড়া এই প্রথমবার বিধায়ক হলেন মুকুল। তুলনায় অভিজ্ঞ শুভেন্দু। বিধানসভায় থাকার পুরনো অভিজ্ঞতা এবং নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ‘জায়েন্ট কিলার’ হওয়ায় তাঁকেই বিরোধী দলনেতার মর্যাদা দিতে আগ্রহী ছিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।