এবার বিদ্রোহ শুভেন্দু অধিকারীর? এবার দলের জেলা সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গেই ওই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন দলের আর এক বিধায়ক অশোক দিন্দা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাস। হঠাৎ কেন এভাবে রাতারাতি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে তাঁরা বেরিয়ে গেলেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দল অব্যাহত। জেলায়-জেলায় নেতাদের দলত্যাগ-ইস্তফায় ঘোর অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপির গ্রুপ লেফটের রাজনীতিতে ক্রমেই চিন্তা বাড়ছে সুকান্ত-শমীকদের। রবিবার রাতে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান একে একে শুভেন্দু অধিকারী, ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা ও সাহেব দাসরা।
রবিবারই তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির ৪২টি মণ্ডলে সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। অভিযোগ, পুরনো নেতাদের অনেককেই বাদ দিয়ে সেই জায়গায় জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সভাপতির পছন্দের নেতাদের তুলে আনা হয়েছে মণ্ডল সভাপতি করে। এতেই বিপত্তি বেড়েছে। দলে বেড়েছে অসন্তোষ। খোদ শুভেন্দু অধিকারী বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পদত্যাগের ছায়া এবার খোদ কলকাতায়, জেলা সভাপতির কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ সম্পাদকের ইস্তফা
তমলুক বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুরু থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপির অনেকের সম্পর্ক ভালো নয়। খোদ শুভেন্দুর সঙ্গেই তাঁর অম্লমধুর সম্পর্ক জেলা রাজনীতিতে প্রায়শই চর্চায় থাকে। রবিবার মণ্ডল সভাপতিদের নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দলের অন্দরেই ক্ষেভ বাড়তে থাকে। শুভেন্দু অধিকারী মুখে কিছু না বললেও এবার সরাসরি তাঁর বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন।
সোমবার সকালে শুভেন্দু অধিকারীর দলের জেলা সাংগঠনিক গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসার খবর প্রকাশ্যে আসে। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। যদিও এব্যাপারে শুভেন্দু নিজে এখন কিছু জানাননি।