Advertisment

মুকুল ইস্যুকে সামনে রেখেই জাতীয় স্তরে প্রচার শুরু বিজেপির

Suvendu Adhikari: এ বিষয়ে তাঁরা ইতিমধ্যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে টেলিফোনে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suvendu Adhikari, Governor, Mukul ray

রাজ ভবনের বাইরে সপার্ষদ শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: পার্থ পাল

Suvendu Adhikari: পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান-ইস্যু বিধানসভার অন্দরে শুধু নয়, রাজ্যেও সীমাবদ্ধ রাখবে না বিজেপি। প্রচার করবে সারা দেশে। তৃণমূলে যোগ দিয়েও চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। এবার এই ইস্যুকে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যেতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা রাজ্যপালকে পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

Advertisment

এদিন রাজ্যপালের কাছে অনুযোগ জানিয়েছে বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ৬৪ পাতার প্রমাণসহ আমি অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। ১৬ তারিখ শুনানি আছে। তবে বিচারপতি তাঁর রায় আগেই ঘোষণা করে দিয়ে বলেছেন মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক। ৭ জন বিধায়কের মধ্যে তাঁকে চেয়ারম্যান করেছেন। অথচ আমাদের তালিকায় মুকুল রায়ের নাম ছিল না। এমসস্ত বিষয়ে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি।"

তবে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের আবেদন করেই ক্ষান্ত থাকছে না বিজেপি। এ বিষয়ে তাঁরা ইতিমধ্যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে টেলিফোনে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরেছেন। বিষয়টি বলবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও। দেশের অন্য সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শাসকদলের পরিষদীয় দলনেতা ও বিরোধী দলনেতাদেরও বিষয়টি অবহিত করাবে বিজেপির বিধায়কদল।

পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান-ইস্যুকে হাতিয়ার করেই দেশজুড়ে প্রচার করতে চায় বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, "আমরা লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে টেলিফোনিক আলোচনা করেছি। আমরা আগামী সপ্তাহে এই প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতি ও লোকসভার স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেব। তাছাড়া দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ, পরিষদীয় দলনেতা ও বিরোধী দলনেতাকে আমরা এই কপি পাঠাব। আমরা জানাতে চাই পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ হচ্ছে, সংসদীয় ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে এবং বিরেধীদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।"

তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন বিস্তার করতে মরিয়া। মূলত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন দেশের অন্যত্র দলের সংগঠন বৃদ্ধি করাই তাঁদের লক্ষ্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি এবার তৃণমূলের সংসদীয় রাজনীতির ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অন্য রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করতে চাইছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Suvendu Adhikari PAC Chairman Mukul Ray
Advertisment