দলের তিন সাংসদ ও ভোট কুশলীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে সমস্যা মিটে গেছে বলে দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস।তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও শুভেন্দু বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে দু'ঘণ্টা ধরে বিস্তারিতভাবে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সৌগত বাবুর দাবি, এ বৈঠকেই মিটে গেছে সমস্ত সমস্যা। আগামী দিনে পুরো বিষয়টি বলবেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই বৈঠকের পর রাজ্য-রাজনীতিতে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী নিজে কোনও মন্তব্য করেননি। চলতি বছর ২৩ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে টানা অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাকেন শুভেন্দু। এভাবেই জনসংযোগে মন দেন তিনি।
সম্প্রতি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ নাম না করে কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েও আক্রমণ করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদ অনেকেই আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন শুভেন্দুকে। রবিবার ডায়মন্ডহারবারে এক জনসভায় শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অভিষেক। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকবার শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ও বৈঠক করেছেন সৌগত রায়। কলকাতার এক তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে কথাও বলেছেন। এমনকী প্রশান্ত কিশোর বাড়িতে গিয়ে শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তারপরেও জোট খোলেনি।
শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতার বাড়িতে দু'ঘণ্টা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সব সমস্যা মিটে গেছে বলেই দাবি সৌগত রায়ের। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু কোনও মন্তব্য না করায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। প্রতিবারই বৈঠকের পর এক পক্ষ বলে এসেছে আলোচনা সদর্থক। শুভেন্দু বৈঠক নিয়ে টু শব্দ করেনি। তবে এদিনের বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি। প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়েই মূলত ক্ষোভ বলে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি ছিল।