পেগাসাস নজরদারি মামলায় কেন্দ্রের দাবি নাকচ। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই রায় তাদের দাবিকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে তৃণমূল। শীর্ষ আদালতের রায়কে তুলে ধরে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করছে জোড়া-ফুল শিবির। এরই মধ্যেই আবার বোমা ফাটালেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পেগাসাসকাণ্ডর তদন্তে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।
পেগাসাস আড়িপাতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই উত্তাল হয় দেশ। অনৈতিকভাবে নজরদারির জন্য কেন্দ্রকে নিশানা করে তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। কার্যত ভেস্তে যায় সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধিরা পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইলেও তা করতে নারাজ ছিল শাসক শিবির।
বিতর্কের মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'আমি আইসি, ওসি, এবং ওসির ভূমিকা খতিয়ে দেখার আবেদন চেয়ে সিবিআইয়েরর তদন্তের দিকে যাচ্ছি। পিসিমণি, চটিমণি তখন কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা আপনাকে ফোন করে, আমার কাছে প্রত্যেকটা কল রেকর্ড, ফোন নম্বর আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।'
শুভেন্দুর এই মন্তব্যকেই ঢাল করে তৃণমূল। পেগাসাস 'হ্যাক' ইস্যুতে ২১ জুলায়ের বক্তব্যে শুভেন্দুর দাবিকে ঢাল করে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে, 'অনেক গদ্দারআছেন, যাঁরা মুখে মুখে বড় কথা বলছেন। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছেন। সবকিছুর তদন্ত চাই।'
মুখ্যমন্ত্রীর সেই দিনের দাবি সঠিক ছিল বলে আদালতের এ দিনের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে- মনে করছে জোড়া-ফুল নেতৃত্ব। এরপরই তদন্তের স্বার্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'পেগাসাসে SC র তদন্ত কমিটি। প্রমাণিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ সঠিক ছিল। তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে জেরা করা হোক। ও বলেছিল সব ফোন কল লিস্ট, রেকর্ডিং ওর কাছে আসে। ওকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সূত্র জানা প্রয়োজন।'
আড়িপাতাকাণ্ডে বুধবার শীর্ষ আগালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। টুইটারে লেখা হয়েছে, 'বিজেপি কতদূর যেতে পারে? সংসদে আমাদের সাংসদদের উত্থাপিত প্রতিটি আলোচনায় ওরা ভয় পেয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সত্য উদঘাটিত হবেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন