আচমকাই জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে অস্থায়ী বা পার্ট টাইম চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই বিজেপি নেতার কাজের মেয়াদ ছিল তিন বছর। তাহলে কেন হঠাৎ ইস্তফা? তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা কৌতুহল।
গত ডিসেম্বরে বিধায়ক পদ ও তৃণমূলের সব সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় যোগ দেন বিজেপিতে। এরপরই প্রবাবশালী ওই নেতাকে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের প্রস্তাবিত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে গত ৪ জানুয়ারি শুভেন্দুর নিয়োগে সম্মতি দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি।
পদ পেয়ে প্রদানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়েছিলেন, মোদী বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে কাজের জোড়াল ইঙ্গিত করেছেন নমো। পদপ্রাপ্তির মাস দু'য়েকের মধ্যেই তাহলে কেন আচমকা ইস্তফা দিতে হল শুভেন্দুবাবুকে?
আরও পড়ুন- ‘বিজেপিই শক্তিশালী হচ্ছে’, আনন্দ শর্মাকে পাল্টা জবাব অধীরের
এই ইস্তফার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে বিস্তারিত জানা না গেলেও বিজেপির তরফে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, আপাতত নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত শুভেন্দু। এই ব্যস্ততা ক্রমেই বাড়ছে। সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।'
সদ্য দলে যোগ দিয়েই বঙ্গ বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে। বাংলা বিজয়ে মোদী-শাগ জুটিও তাঁর উপর ভরসা রাখছে। একুশে বাংলার নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিতেও তাঁকে সদস্য করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম থেকে হাফ লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শুভেন্দু নিজে। আপাতত দলের অন্যতম শো-স্টপার তিনি। তাই তাঁর ব্যস্তার বিবেচনা করেই জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা বলে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন