প্রশান্ত কিশোরের হাজিরার পরও ছবির বদল হল না। ফের তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, 'আমফানের পরে নন্দীগ্রামে কে এসেছিল? কেউ আসেনি। আমি ১ মাস ধরে কারেন্ট কী করে আসবে তার ব্যবস্থা করেছি।' মুখে নাম না নিলেও তাঁর নিশানায় যে তৃণমূল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যান ভোট–কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি কাঁথির অধিকারী বাড়িতে যখন যান, শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। তারপর সেখানে বসেই ফোনে কথা হয় শুভেন্দুর সঙ্গে। কিন্তু পিকেকে ময়দানে নামিয়েও যে শুভেন্দুর মনোভাব বদলানো যায়নি, তা এদিন তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট।
এদিন নন্দীগ্রামে কালীপুজোর উদ্বেধনে গিয়ে নিজের মনোভাব আরও স্পষ্ট করে শুভেন্দু জানান, ‘সব উৎসবে থাকি, সব অনুষ্ঠানে থাকি। আর বোম গুলির আওয়াজ হলে ছুটে চলে আসি। বোম-গুলির আওয়াজ পেলে ছুটে চলে আসি। চোখের জল মোছাতে আসি। আমাকে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া, প্রার্থনাকে সঙ্গী করে আমি এগিয়ে যাব।’
১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সভা থেকেই পরিষ্কার হয় যায় যে, তৃণমূল ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে। হাজরাকাটার জনসভা থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে নাম না করেই সুর চড়ান ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেনরা। পরে দলের তরফে ফাটল বোজানোর চেষ্টা হলেও শুক্রবার শুভেন্দুর কথা থেকেই স্পষ্ট আপাতত সেই ব্যাবধান মোছেনি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন