বিজেপির হয়ে এই প্রথম প্রকাশ্য রাজনীতির ময়দানে শুভেন্দু অধিকারী। কেতুগ্রামের গেরুয়া মঞ্চ থেকে এ দিন শুভেন্দু তুলোধনা করলেন তৃণূলকে। সাফ জানালেন, তৃণমূলকে জন্মলগ্নে আশ্রয় দিয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক আদর্ষ-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তাঁর প্রাক্তন দল বর্তমানে কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
* 'তৃণমূলকে আশ্রয় দিয়েছিল বিজেপি। আডবানী-বাজপেয়ী পাশে না থাকলে ২০০১ সালেই তৃণমূল পার্টিটা উঠে যেত।'
* 'সিঙ্গুরের অনশনমঞ্চে ফলের রসটা কে খাইয়েছিল? সুষমা স্বরাজ। '
* 'আমায় মীরজাফর বলছে, কিন্তু নৈতিকতা বজায় রেখে আমি মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক পদ ও তৃণমূলের প্রাথমিত সদস্য পদ ছেড়েছি।'
* 'তৃণমূল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। দেড় জনে দল চালাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক দল নয়।'
* 'পার্টিকে বলব আমাকে বিধানসভার টিকিট দিতে হবে না। এমনিতেই খাটব। ২০ ঘন্টা খাটব। পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই'
* 'সবাই মিলে লড়ব নতুন বাংলা গড়ব।'
কেতুগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী-দিলীপ ঘোষ
* '২০০৪ সালে লোকসবা ভোটে তৃণমূলের হয়ে কেই তমলুকে লড়চে চায়নি। আমি লড়াই করেছিলাম।'
* 'যাঁর আত্মসম্মান রয়েছে সে তৃণমূলে থাকতে পারবে না।'
* 'তালোবাজ ভাইপোর হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হবে। এই শর্তেই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।'
* 'কয়লা, বালি, পাথর, গরু নিয়ে তোলাবাজি করেছে ওরা। এবার ক্ষমতায় এলে কিডনি পাচার করবে।'
* '১০০ দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বার করতে হবে। আমি মনে করি কেন্দ্র-রাজ্যে এক দলের শাসন হওয়া উচিত। তাই বাংলাকে মোদীজির হাতে তুলে দিতেই হবে।'
* 'যুবকদের চাকরি নেই। সব স্থায়ী সরকারি চাকরির পদ তুলে দিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে কোনও নিয়োগ হয়নি। টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের যে বেতন দেওয়া হয় তাতে সংসার চলে না। এ জন্যই পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।'
* 'নিজের জোরে হলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন। কিন্তু হতে পারেননি। ২০১১ সালে কংগ্রেসের হাত ধরে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম না হলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই পারত না। নন্দীগ্রামবাসীর জন্যই তৃণমূল আজ বাংলায় ক্ষমতা।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন