Suvendu Adhikari: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দরবার করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাইকোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বিজেপি থেকে যে বিধায়করা দলত্যাগ করেছেন, কারও বিধায়ক পদ থাকবে না। সারা দেশের প্রত্যেক বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নেই। সেই আইন এই রাজ্যের বিধানসভায় কার্যকর করতে আমরা মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল।‘
তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘প্রায় ৪ মাস হতে চলেছে, উনি এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ‘
এদিকে, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর চেয়ে স্পিকারের কাছে দরবার করেছে বিজেপি। বিশেষ করে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল। কিন্তু সেই দরবার এখনও অধ্যক্ষর বিবেচনাধীন।
এদিকে, জমে উঠেছে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের শেষবেলার প্রচার। রবিবার ছুটির দিন ছিল আরও জমজমাট। একদিকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সভা। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সমর্থনে ছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ তেওয়ারী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জয়ী হলে, তিনি যে তাঁর পদ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত সেকথা ভবানীপুরের জনসভায় ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
সুধীর স্ট্রিটে এদিন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সমর্থনে বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন? সেই প্রশ্ন তুলে কড়া তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মন্তব্য, ‘এখানকার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ নয় বা দলবদল করেননি। তাহলে কেন এই কেন্দ্রের ওপর ভোট চাপিয়ে দেওয়া হল?’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সাধারণত ভোট হলে ৩ কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু উপনির্বাচনে জনগনের পকেটের প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হবে।’ ভবানীপুরের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘ভ মানে ভবানীপুর, ভ মানে ভারতবর্ষ। এখান থেকে ভারতবর্ষ পরিচালনা হবে।’ শুভেন্দু মমতার ভবানীপুরের মানে নিয়েও সমালোচনা করেন। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘উনি বলছেন ভ মানে ভবানীপুর ভ মানে ভারতবর্ষ। আমি বলছি ভ মানে ভোটে হারব আমি। ভ-এর তিন মানে ভাতা, ভিক্ষা, ভর্তুকি।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন