Advertisment

‘মন্ত্রীদের কাজ করতে দেয় না মুখ্যমন্ত্রী’, আলাপন ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সম্পৃক্ত। তাই আলাপন আর তৃণমূলের কথা এক। এমন অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
suvendu adhikaris indicative post on nandigram

শুভেন্দু অধিকারী।

আলাপন ইস্যুতে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রাজ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে এই বৈঠক করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘কোনও মন্ত্রীদের কাজ করতে দেয় না মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে কোনও ফাইলে সই করতে পারিনি আমি।‘ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সম্পৃক্ত। তাই আলাপন আর তৃণমূলের কথা এক। এমন অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এমনকি রাজনীতিতে অভিষেককে ‘অপরিণত মস্তিষ্ক’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।এদিন ইয়াস কবলিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক। সেখানেই আলাপন প্রসঙ্গে উলটে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

Advertisment

এদিকে, রাজ ভবনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘অন্ডাল বিমানবন্দর নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি কেন?’ এদিন রাজ ভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্বলিত একটা নথি তুলে দেন বিরোধী দলনেতা। শীর্ষ আদালতের রায় থাকলেও রাজ্য নিরাপত্তা কমিশন গঠনে কোনও উদ্যোগ নেয়নি নবান্ন। সেই চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। দেখুন সেই চিঠির প্রতিলিপি:

publive-image
রাজ্যপালের হাতে এই চিঠি তুলে দেন বিরোধী দলনেতা।

 অপরদিকে, সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এখনও তার সম্পূর্ণ সমাধান না হলেও এ নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করলেও তিনি জানিয়ে দেন ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। বলেন, ‘‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যাপ্টার ইজ ওভার।’’

পাশাপাশি বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরদর্শনে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘উনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। যিনি কাজ করছিলেন তাঁকে কেন শো-কজ! প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। কমিশনের ব্যর্থতা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, প্রতি দিন লাখ চারেক বলে মারা যাচ্ছেন, সকলকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তখন এ রাজ্যে এসে সভা করছেন। আর বলছেন, এত বড় সভা কখনও দেখিনি। ওর বিরুদ্ধে আগে ওই আইন প্রয়োগ হওয়া উচিত।’’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc IAS CM Mamata Alapan Banerjee
Advertisment