করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা। কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু দলে তাঁকে টিকিট দেয়নি। এবার ভোট মিটতেই বিজেপি ছাড়লেন তিনি।
ভূষণের আরও অভিযোগ, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজ করার লোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে কোচবিহারের সাংসদ এবং বিধায়কদের দেখা নেই। উন্নয়ন তো দূরের কথা, কোনও কাজের মাধ্যমে এই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোন উদ্যোগ নেই তাঁদের। এখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবা-যত্ন করা উচিত। কিন্তু সেটা ভুলে গিয়ে কেন্দ্র যে চিন্তাভাবনা করছে তার বিরুদ্ধেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’’
তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে নির্দল হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। বর্তমানে রাজনীতির বাইরে থেকে সমাজের জন্য তিনি কাজ করতে চান। জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে একটি ১৫-১৬ লক্ষ টাকার জেনারেটর কোচবিহার পুরসভাকে দান করেছেন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দেওয়ারও পরিকল্পন রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তিনি শুভেন্দুর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন তিনি বিজেপি ত্যাগের পর কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় নাম না করে ফেসবুকে কটাক্ষ করেন। জেলা নেতৃত্বের অনেকেই চাইছেন ভূষণ যেন তৃণমূলে না ফেরেন।