বিজেপিতে যোগ দিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেও এই যোগাযোগের সূত্রপাত হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। সেকথা নিজেই স্বীকার করলেন শুভেন্দু। চার বছর আগে আলোচনার টেবিলে শুভেন্দু বসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার সঙ্গেও। এদিকে শুভেন্দুকে ঘিরেই ছিল শনিবারের জনসভার যাবতীয় উন্মাদনা।
বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ হয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৪ সালে। লোকসভা নির্বাচনের পর। যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির তৎকালীন পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিনহা। দিল্লিতে বিজেপি অশোকা রোডে ছোট্ট একটা ঘরে আলোচনা হয়েছিল অমিত শাহর সঙ্গে। শনিবার মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মুহূর্তে একথা জানিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
শুভেন্দু বলেন, "২০১৪ সালে দিল্লির অশোকা রোডে একটা ছোট্ট ঘরে সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা অমিত শাহর দর্শন পেয়েছিলাম। যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিনহা।" রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপির সঙ্গে তাঁর বহুদিনের সুসম্পর্ক তাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। এমনকী যোগদানের জনসভাতেই শুভেন্দুর ভাষনের আগাগোড়া ছিল গেরুয়া কন্ঠের ধ্বনি। এটাই যে বিজেপির মঞ্চে প্রথম ভাষন তা বোঝার উপায় ছিল না। কপালে ছিল গেরুয়া তিলক।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় এদিন বলেন, "আমি শুভেন্দুকে বলেছিলাম অপমান সহ্য করে তৃণমূলে থেকো না। বিজেপিতে এলে সম্মান পাবে।" রাহুল সিনহা বলেন, "২০১৫ সালে আমার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল শুভেন্দুর।"
এককথায় শনিবারের মেদিনীপুরের জনসভা ছিল শুভেন্দুময়। এদিনের সভামঞ্চে তামাম বিজেপি নেতৃত্ব ও সভায় হাজির দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভাবভঙ্গী ও সভার পরিবেশ জানান দিচ্ছিল এই সভা যেন শুধু শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানেরই সভা। শুভেন্দুকে ঘিরেই ছিল সমাবেশের আমেজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সহ বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্যে এসেছে শুভেন্দুর নাম। এমনকী শুভেন্দুর ভাষন শোনার পর অমিত শাহের বক্তব্যেও যেন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন জনতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন