/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/mukul-suvendu-1.jpg)
মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিধানসভায় মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলার পুনরায় শুনানি হবে। সেই শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিন কয়েক আগেই অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন যে,মুকুল রায়ের দলত্যাগ বিরোধী মামলার শুনানির সময়ে তিনি থাকতে চান। সেই আর্জির প্রেক্ষিতেই এ দিন বিরোধী দলনেতার আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের এক মাস পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু দল বদল করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক। গত বছর ওই ঘটনার পরই মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপির পরিষদীয় দল। যা নিয়ে বিস্তর ডামোডোল চলে। উল্টে মুকুলকে বিজেপির সদস্য বলে বিধানসভার পাএসি- চেয়ারম্যানও করেন অধ্যক্ষ। ফলে সংঘাত আরও বাড়ে। দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, মুকুল রায় বিজেপিরই বিধায়ক। অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতে যায় বিজেপি। আদালতের তরফে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ মামলা পুনরায় বিবেচনা করতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিধানসভার অন্দরের তৃণমূল বিধায়কদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত হন বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দু অধিকারী সহ মোট পাঁচ গেরুয়া বিধায়ককে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করেছেন অধ্যক্ষ। ফলে মনে করলেই তিনি বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ফলে মুকুল রায়ের শুনানিতে হাজির থাকতে অদ্যক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতেই বিমান বন্দ্যোপাদ্যায় জানিয়েছেন যে, শুনানিতে মুকুল রায় থাকতে পারবেন। কিন্তু, অধ্যক্ষের ঘরে পৌঁছাতে বিরোধী দলনেতা বিধানসভার ইনার লবি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁকে অন্য পথ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া, শুনানি শেষে শুভেন্দুবাবু নিজের চেম্বারেও বসতে পারবেন না। এতে অসুবিধা থাকলে তাঁর আইনজীবীকে শুনানির সময় পাঠানো যেতে পারে।