সদ্য বিজেপিত্যাগী মুকুল রায়কে শনিবার তৃণমূলের গুপ্তচর আখ্যা দিয়েছেন তথাগত রায়। ট্যুইটে এনেছেন ট্রয়ের ঘোড়ার প্রসঙ্গ। এবার আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে শাসক দলে নিতে ট্যুইটে আবেদন করলেন তিনি।বঙ্গ ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের আক্রমণের তিরে ৪ বিজেপি নেতা। নাম না করে তিনি একাধিকবাড় খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির ‘এ’, ‘এস’, ‘কে’, ‘ডি’-কে। বিজেপি অন্দরে খবর, এই ‘এ’, ‘এস’, ‘কে’, ‘ডি’ আসলে অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় আর দিলীপ ঘোষ। ভোট বিপর্যয়ের জন্য তথাগতর কাঠগড়ায় মূলত এই ৪ নেতা। এবার সেই ‘কে’-কে তৃণমূলে নিতে রবিবার ট্যুইটারে সরব হলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
তবে, সরাসরি তিনি সেই ট্যুইট করেননি। এক বিজেপি সমর্থকের ট্যুইটের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন মাত্র। রবিবার সকালে দিবাকর দেবনাথ নামে এক বিজেপি সমর্থকের ট্যুইট রি-শেয়ার করেন তথাগত রায়। সেই ট্যুইটে মুকুল-কৈলাসের ছবি মূল আক্রমণের লক্ষ্য। সেই ট্যুইটের ইংরেজি অনুবাদে তিনি লেখেন (বাংলা করলে যা দাঁড়ায়), এক বিজেপি সমর্থকের ট্যুইটের ইংরেজির বিশ্বস্ত অনুবাদ। আমি কিছুই যোগ বা বিয়োগ করিনি।‘ রি-ট্যুইটে মমতাকে আন্টি (বুয়াজি) অর্থাৎ পিসি সম্বোধন করে তথাগত রায় সেই ছবির উদ্দেশে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে এই স্টুপিড ক্যাটকে তৃণমূলে নিয়ে নিন। আকস্মিক ভাবে বন্ধুকে খুঁজে না পেয়ে সে সম্ভবত ব্যথিত। সারাদিনই এই দুজনে একসঙ্গে থাকত।'
দেখুন সেই ট্যুইট:
এবার দেখুন দিবাকর দেবনাথ মুকুল রায় আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছবি শেয়ার করে কী লিখেছেন ট্যুইটারে? তিনি লেখেন, ‘মমতা পিসি এই ভেদো বিড়ালটাকে তৃণমূলে নিয়ে নাও। বন্ধুকে না পেয়ে হতাশ হতে পারে। সারাদিন মুকুলের সাথে ফিসফিস/গুজগুজ করত।‘ এই ট্যুইটের সঙ্গে তিনি দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপি এবং তথাগত রায়কে উল্লেখও করেছেন। এমনকি ট্যুইটে অসাংবিধানিক শব্দও ব্যবহার করেন সেই বিজেপি সমর্থক।
সেই সুত্রেই প্রবীণ রাজনীতিবিদের চোখে পড়ে দিবাকরের ট্যুইট। যেখানে ‘ভেদো বিড়াল’কে ‘স্টুপিড ক্যাট’ বলে সম্বোধন করেছেন তথাগত রায়। এদিকে, নেটমাধ্যমে আলটপকা মন্তব্যের জন্য দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল তথাগত রায়কে। প্রায় একমাস সেই তলব ঝুলিয়ে রেখে কয়েকদিন আগে দিল্লি গিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও কথা বলেছেন তথাগত রায়।
ঘটনাচক্রে সেই দিনেই একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। যে কমিটির কাজ হবে, সমাজমাধ্যমে কোন নেতা কী মন্তব্য করছেন, তার নজরদারি করা । কিন্তু স্পষ্টবক্তা তথাগতর মুখে কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। ফলে, ভোট পরবর্তী পর্যায়ে আরও বিড়ম্বনা বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন