মমতা সরকারকে নিয়ে বিতর্কে বরাবরই শীর্ষে এসেছে তাঁর নাম। এবার বিজেপির 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনির জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের 'জয় বাংলা' স্লোগানের বিরোধিতায় সরব হলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি বলেন, "জয় বাংলা স্লোগানটি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেই জড়িত। একটি যুক্তিতে বলা হচ্ছে, বাঙালিরা যে কেউ এই স্লোগান দিতে পারেন। কারও নিজস্ব নয় এই স্লোগান। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশদ্রোহীতা এবং প্রচ্ছন্ন উপ-জাতীয়তাবাদ প্রচার করার জন্য বানানো হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহের শুরুতে সংসদে শপথ নেওয়ার সময় তৃণমূলের সাংসদদের 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং মাঝে মাঝে 'জয় মমতা' স্লোগান নিয়েই মেঘালয়ের রাজ্যপালের এই মন্তব্য, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, বিজেপির 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানের জবাবে নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের 'জয় বাংলা', 'জয় হিন্দ' বলার আদেশ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রসঙ্গেই তথাগত রায় বলেন, "আমি অত্যন্ত বিরক্ত যে লোকসভায় কয়েকজন 'জয় বাংলা' বলে চিৎকার করে যাচ্ছেন। এই স্লোগানটি আমাদের পড়শি দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়কার স্লোগান। এখন তো মনে হচ্ছে এঁরা 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলেও চিৎকার করতে পারেন"। তিনি আরও বলেন, "যদিও এরা কোনওসময়ই 'জয় পশ্চিমবঙ্গ' বলে চেঁচাবেন না। তাঁরা ভুলে যেতে চান যে পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল সেই কারণেই যাতে হিন্দু বাঙ্গালিরা নিজেরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন।"
এই ইস্যুতে মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের বর্ষীয়ান এক নেতার বক্তব্য, "বিধানসভায় রাজ্যের নাম বাংলা করা হয়েছে আগেই। তাহলে 'জয় বাংলা' বলার মধ্যে অন্যায় কী আছে? পাঞ্জাব তো পাকিস্তানে আছে, আবার ভারতেও আছে। তাহলে কি ‘জয় পাঞ্জাব’ও বলা যাবে না?"
উল্লেখ্য, তথাগত রায়ের এই টুইটের পর তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অপর আরেকটি পোস্ট করে তিনি বলেন, "কিছু জোকার আছে যারা আমার এই জয় বাংলা নিয়ে পোস্টে আপত্তি করছে। তাদের উদ্দেশে বলি, ১৯২২ সালে কবি নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে এই 'জয় বাংলা' শব্দ দুটি নেওয়া হয়। তখন কিন্তু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ বিভাজিত হয় নি।"
Read the full story in English