Advertisment

Lok Sabha Elections 2024: ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক, এনডিএতে চন্দ্রবাবু নাইডু, আসন ভাগাভাগি নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত!

শনিবার তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকের পর চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
alliance

কয়েকদিন ধরে তিন দলের নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে, শুক্রবার আবার শুরু হয়েছে। (এক্স/@জনসেনা পার্টি)

পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসনের টার্গেট সামনে রেখেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যে আবার বিধানসভা নির্বাচনও। ভোটের আগে আগে সব দলই ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত।

Advertisment

শনিবার তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকের পর চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জোটের বিষয়ে বিজেপি, টিডিপি এবং জনসেনা পার্টির (জেএসপি) মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। বিজেপি-টিডিপির জোট দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোয়ার আনবে।

ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি ও জনসেনা মধ্যে জোট ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জোটের নতুন সমীকরণের ফর্মুলা কী হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু একটি বৈঠক করেন। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনে এই বৈঠক হয়। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে বিজেপি-টিডিপির সম্ভাব্য জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

২৪-এর নির্বাচনের আগে জোট নিয়ে বিজেপি ও টিডিপির মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলেছে। ২০২৩ সালের জুনে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নাইডুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে, যাতে বহু বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন থেকেই আলোচনা শুরু হয় যে দুই দলই ২০২৪ সালের নির্বাচনে একসঙ্গে লড়তে পারে। তবে ওই সময় জোটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রায় ১০ বছর পর চন্দ্রবাবু নাইডুর দল এনডিএ-তে যোগ দিয়েছে । ২০১৪ সালের নির্বাচনে উভয় দল একসঙ্গে লড়েছিল। কিন্তু, ২০১৮ সাল নাগাদ জোট ভেঙে যায়। ২০১৮-এর ফেব্রুয়ারির সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে জোট ভেঙে যায়। এমনকি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছিল টিডিপি।

অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ সদস্যের বিধানসভায় বর্তমানে YSR কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১৪৭ জন বিধায়ক রয়েছে। একই সময়ে, প্রধান বিরোধী দল টিডিপির মাত্র ১৮ জন বিধায়ক রয়েছে। বর্তমানে টিডিপি ও জেএসপির জোট রয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই টিডিপি এবং জনসেনার মধ্যে আসন ভাগাভাগি করা হয়েছে। ১৭৫ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৪ টি আসন দেওয়া হয়েছে জনসেনা পার্টিকে। যেখানে ২৫ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২টি আসন JSP-এর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, টিডিপি ৯৪ জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে এবং জনসেনাও তাদের পাঁচ প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে।

সূত্রের খবর টিডিপি ১৭ টি আসনে, বিজেপি ৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নাইডু এবং জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ শুক্রবার সিনিয়র বিজেপি নেতা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক করেছেন এবং আলোচনার পরে তিনটি দলের মধ্যে একটি আসন ভাগাভাগি ইস্যুতে একটি চ্যুক্তি হয়। সূত্র জানিয়েছে যে বিজেপি অন্ধ্র প্রদেশের ২৫ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিল। টিডিপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে ১৭ টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং বিজেপিকে ছয়টি আসন ছাড়া হবে। ইন্যদিকে জনসেনা পার্টি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সূত্রের খবর, শিগগিরই তিনটি দল যৌথ বিবৃতি জারি করতে পারে।

amit shah Chandrababu Naidu
Advertisment