চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি দলের ৬ জন রাজ্য়সভা সাংসদের মধ্য়ে ৪ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন বৃহস্পতিবার। বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে এই দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ২ সাংসদ টিডিপির সাংসদ সি এম রমেশ, ওয়াই সত্য়নারায়ণ চৌধরি আয়কর দফতর, সিবিআই, এবং ইডি-র নজরবন্দি ছিলেন বহু দিন ধরেই।
টিডিপির সাংসদ সি এম রমেশ, ওয়াই সত্য়নারায়ণ চৌধরি, টিজি ভেঙ্কটেশ এবং গরিকাপতি মোহন রাও রাজ্য়সবার সভাপচি এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও তাঁদের দলবদলের কথা লিখিত ভাবে জানান। টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু এখন ছুটি কাটাতে ইউরোপ গিয়েছেন। সে সময়েই এই ঘটনা ঘটল।
মহিলা আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি মঙ্গলবার
এদের মধ্যে রমেশের বিরুদ্ধে বর্তমানে আয়কর তদন্ত চলছে। সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যে যখন তরজা চলছিল, সে সময়ে রমেশের নাম আরও একবার সামনে আসে। রামেশের সঙ্গে যোগ থাকা এক সংস্থা নিয়েও তদন্তে নেমেছে আয়কর দফতর। অন্য়দিকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা চৌধরি ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির মামলায় সিবিআই ও ইডির নজরে রয়েছেন।
অতীতে দু'জনেই দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। বৃহস্পতিবার দুজনকেই মেসেজ করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। ঘটনাচক্রে, গতবছর নভেম্বরে বিজেপি সাংসদ এবং মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাও টিডিপির সাংসদ সি এম রমেশ, ওয়াই সত্য়নারায়ণ চৌধরির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রাজ্যসভার এথিকস কমিটিতে লিখিত অনুরোধ জানান।
সপ্তাহে একবার হাজিরা দিতেই হবে, প্রজ্ঞা ঠাকুরকে জানাল আদালত
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আয়কর দফতর রমেশের ঘনিষ্ঠ এক সংস্থায় ১০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক ট্রানজাকশন দেখতে পায়। সেই সূত্রেই হায়দরাবাদে সংস্থারর দফতরে এবং কাদাপায় রমেশের বাসভবনে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করে টিডিপি।
আস্থানা-ভার্মা কাণ্ডে মূল প্রত্যক্ষদর্শী সতিশ বাবুর অভিযোগ রমেশ মামলার তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল।
চৌধরি এর আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ৩১৫ কোটি টাকার এক জালিয়াতির ঘটনায় সিবিআই এর এফআইআর এর ওপর ভিত্তি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট আর্থিক জালিয়াতির মামলা শুরু করেছিল।
Read the full story in English