কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে বিহারে লালুর দল আরজেডিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন নিত্যানন্দ রাই। বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। বিহারের উদিয়ারপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই নাকি লালুর দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তার আগে এনডিএ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে মূর্তি বলে নিত্যানন্দের আক্রমণের মুখে পড়েন তেজস্বী। তার পরই পাল্টা বিস্ফোরক দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তেজস্বী।
তেজস্বীর দাবি নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র তথা দলের ওবিসি মোর্চার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, "নিত্যানন্দ রাইয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি তেজস্বী এবং তাঁর পরিবারের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এখন চরিত্র হননের পথে নেমেছে।"
আনন্দ আরও বলেছেন, "লালুপ্রসাদের পরিবার বার বার রাইয়ের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। সেই ঘনিষ্ট নেতা প্রাক্তন সাংসদ রঞ্জন যাদব থেকে শুরু করে বর্তমানে পাটলিপুত্রর সাংসদ রাম কৃপাল যাদব। যাদবদের ভুল বুঝিয়েছেন লালুপ্রসাদ। তেজস্ব যা বলছে তা নিত্যানন্দকে অপমানের সমান। যতই করুক, লালুপ্রসাদের সামনে মাথা নত করবেন না।"
আরও পড়ুন ভারতের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে, একযোগে রুখতে দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও অনেক বিজেপি নেতা তেজস্বীকে কটাক্ষ করেছেন এই মন্তব্যের জন্য। এছাড়াও দ্রৌপদী মুর্মুকে মূর্তি প্রার্থী বলার জন্যও আক্রমণ শানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিত্যানন্দ রাই হাজিপুরের মতো যাদব অধ্যুষিত অঞ্চলে লালুপ্রসাদের রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেন। আরও একটি কারণ হল, নিত্যানন্দ রাই আগামী ২০২৫ নির্বাচনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর।
কিন্তু তাঁর আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নীতীশকে তুষ্ট রাখতে হাইকম্যান্ড সাফ জানিয়েছে, বিহারে এনডিএ জোটের নেতা নীতীশই থাকবেন। তাতেই আশাভঙ্গ হয়েছে নিত্যানন্দের। তার পরই আসরে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব।