আগামী শুক্রবার কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। থাকার কথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও। কিন্তু মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান না নীতীশ। তাই তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদবকে পাঠাচ্ছেন নীতীশ।
তেজস্বীকে মোদীর বৈঠকে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান নীতীশ। এক, মোদীর মুখোমুখি না হয়ে তাঁকে বার্তা দেওয়া। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তেজস্বীর পরীক্ষা নেওয়া। জাতীয় বৈঠকে যেখানে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেখানে তেজস্বী কতটা নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তা দেখতে চান নীতীশ। এমনটাই বিহারের শাসকদল সূত্রে খবর।
জাতীয় স্তরে বিহারের প্রতিনিধিত্ব এই প্রথমবার করবেন তেজস্বী। এর আগে হাফ ডজন কেন্দ্রীয় বৈঠক এড়িয়েছেন নীতীশ। কিছুতেই তিনি মোদী-শাহের মুখোমুখি হতে চাইছেন না। গত জুলাই মাস থেকে লুকোচুরি খেলছেন নীতীশ। অগস্টে এনডিএ ত্যাগ করে লালুর হাত ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন মোদীর সঙ্গে তিক্ততা বেড়েই চলেছে, এবার অটলের প্রশংসা করে চব্বিশের বার্তা দিলেন নীতীশ
নীতীশ অবশ্য তেজস্বীকে পাঠানোর অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন। বলেছেন, "শেষবার উত্তরপ্রদেশে এই বৈঠকের সময় প্রাক্তন ডেপুটি সুশীল মোদীকে পাঠিয়েছিলাম। বর্তমানে তেজস্বী এই দফতরের দায়িত্বে। তাই আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি যেতে।" কিন্তু রাজনৈতিক মহল বলছে, মোদী-শাহের মুখোমুখি হতে চান না নীতীশ। একইসঙ্গে জোট শরিক আরজেডি চাপ বাড়াচ্ছে তাঁর উপর। ২০২৫ নির্বাচনের আগে যাতে তিনি তেজস্বীকে চেয়ার ছেড়ে দেন।
তেজস্বীর কাছেও এটা বড় সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। আরজেডি রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সম্প্রতি বলেছেন, "নীতীশ হয়তো ছোট জিনিস ছেড়ে বড় লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছেন।" এখানে ছোট বলতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং বড় প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। পাল্টা জনতা দলের এক শীর্ষ নেতা বলছেন, "নীতীশ চান তেজস্বী সাবালক হোক। একইসঙ্গে মোদীর সঙ্গে চোখাচোখি চাইছেন না নীতীশ।"