ইতিমধ্যেই দলের নেত্রী কে কবিতার নাম জড়িয়েছে দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে। আর, তা নিয়ে রীতিমতো টানাপোড়েনে ভুগছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি থেকে (টিআরএস) থেকে তেলেঙ্গানা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-তে বদলে যাওয়া কে চন্দ্রশেখরের দল। এবার তাদের নাম জড়িয়েছে নতুন কেলেঙ্কারিতে। আর, তা হল প্রশ্নপত্র ফাঁস। ঠিক যেমনটা পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিয়োগ বা শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, অনেকটা সেরকমই।
তবে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল টিএমসির মত অতটা ল্যাজেগোবরে অবস্থা নয় বিআরএসের। সেখানে কেবল তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি বিশেষ তদন্তকারী দল ২৭ ফেব্রুয়ারি তেলেঙ্গানা রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (টিএসপিএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছিল। তা থেকে জানা গিয়েছে, টিএসপিএসসির প্রধান অফিসে কর্মরত দুই কর্মচারী প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত। অভিযুক্তরা অফিসের কমপিউটার থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিল।
এরই মধ্যে, এই সপ্তাহে টানা দুই দিন, পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। আর, তাতে বিতর্ক তীব্র আকার নিয়েছে। স্বভাবতই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী দল বিজেপি আর কংগ্রেস। তারা গোটা ঘটনায় শাসক দল বিআরএসের ব্যর্থতা আর দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করেছে। এমনকী বামপন্থীরা, যারা বিজেপির বিরুদ্ধে বিআরএসকে সমর্থন জানিয়েছে, তারাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত দাবি করেছে।
আরও পড়ুন- ‘সিবিআই তদন্ত করুন, কিন্তু টাকা আটকাবেন না’, রাজ্যের প্রাপ্যর দাবি নিয়ে দিল্লি দরবার অভিষেকদের
পালটা আঘাত শুরু করেছে তেলেঙ্গানার শাসক দল বিআরএসও। মঙ্গলবার তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস-কাণ্ড সাজানোর অভিযোগ তুলেছে। আর, বুধবার সেই অভিযোগে তেলেঙ্গানা বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেফতার করেছে। এই বান্দি সঞ্জয় কুমার আবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তোলার ক্ষেত্রে সম্প্রতি একনম্বর স্থানে ছিলেন। এর আগে বিশেষ তদন্তকারী দল, প্রশ্নপত্র ফাঁস-কাণ্ডে বক্তব্য জানাতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ২৪ মার্চ বান্দি সঞ্জয় কুমারকে তলব করেছিল।