করোনা আবহে এবার হাইটেক নির্বাচনী প্রচারের ভাবনা। সংক্রমণ এড়াতে টেলিকলারের মাধ্যমে ভোট দিতে আবেদন জানানোর কাজ শুরু করছেন চন্দননগর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী। ওয়ার্ডের ৬ মহিলা সামলাবেন এই 'গুরুদায়িত্ব'।
করোনাকালে আগামী ২২ জানুয়ারি চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগজনক হওয়ার আগেই চন্দননগর-সহ চার পুরনিগমের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে বর্তমানে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ প্রবলভাবে বেড়ে যাওয়ায় সভা-সমাবেশ করে নির্বাচনী প্রচারের কাজ বন্ধ। সেই কারণেই প্রচারে এবার অভিনব কৌশল চন্দননগর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী মোহিত নন্দীর।
ওয়ার্ডের ৬টি বুথ থেকে ৬ জন মহিলা কর্মীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা তাঁদের বাড়ির কাজ সেরেই বসে যাবেন ফোনের সামনে। এরপর লিস্ট ধরে ধরে জনে-জনে ফোন করে মোহিত নন্দীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাবেন তাঁরা। তবে এই কাজ করার জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়াটা আগেই সেরে ফেলেছিলেন এই পোড়খাওয়া যুব নেতা। তিনি জানান, তাঁর চারটি টিম চতুর্দিকে কাজ করছে। এলাকার তরুণদের নিয়ে টিম তৈরি হয়েছে। একদল দেওয়াল লিখনের দায়িত্ব সামলাচ্ছে। একদল ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন, ফ্লেক্স লাগাবে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়ি আগেই চষে ফেলেছেন এলাকার তৃণমূলকর্মীরা।
মোহিত নন্দীর কথায়, ''এই ওয়ার্ডে ৫০০০ ভোটার হলেও বাড়ির সংখ্যা ২০০০। আমরা প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছি। এক্ষেত্রে কোনও দল-মত দেখা হয়নি। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস যিনি যেই দলেরই সমর্থকই হোক না কেন আমার ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। অতিমারী আবহে নাগরিকদের বাড়িতে বারংবার যাওয়াটা বেশ অসুবিধার। তাই টেলিকলারের মাধ্যমেই ভোটের আবেদন রাখার সিদ্ধান্ত নিই।''
আরও পড়ুন- শান্তনুর বাড়িতে বৈঠকে সায়ন্তন, জয়প্রকাশরা, গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ
আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, সিলিগুড়ি, আসানসোলের পাশাপাশি চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচন। তার আগে রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় করোনা বাড়ছে। এদিন চন্দননগর কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা হওয়ার বিভ্রান্তি ছড়ায়। তবে জেলাশাসক জানিয়েছেন, সব ওয়ার্ডে কিছু মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। পুরো ওয়ার্ড কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় নেই। সব ওয়ার্ডেই একটি বা দুটি বাড়ি এই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়বে।