বিধানসভা ভেঙে দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। আগামী বছরের এপ্রিলে সেখানে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোট চাইলেন চন্দ্রশেখর। তিনি চান, এবছরের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড় ও মিজোরামে যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা আছে, তার সঙ্গেই ভোট হোক তেলেঙ্গানাতেও। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমহানের সঙ্গে দেখা করে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সময়ের আগে ভোট নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর পর বিধানসভার কাছে তেলেঙ্গানা শহিদ স্মারকে গিয়ে শ্রদ্ধার্পণের করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে পার্টির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি যান ক্ষমতাসীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির দফতর তেলেঙ্গানা ভবনে।
মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার সরকারি আধিকারিকরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর এ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। সেদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্য় সচিব ও মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও বেশ কিছু অফিসার। সেখানেই ইঙ্গিত ছিল, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, তিনি ৫০ দিনে ১০০টি জনসভা করবেন। এই জনসভার কর্মসূচি শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর, তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র হুসনাবাদ থেকে। ওই সভা থেকেই তিনি নির্বাচনী বাদ্যি বাজিয়ে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির এক সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী খুব তাড়াতাড়িই রাজ্য সফর শুরু করবেন। হুসনাবাদের জনসভা থেকে টিআরএসের নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে ওই সূত্র। টিআরএসের একটি সূত্র জানিয়েছে, কেসিআর খুব শিগগিরই রাজ্য জুড়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। দ্বিতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য জনসংযোগ শুরু করতে তিনি প্রস্তুত। তেলেঙ্গানা ভবনে এও গুঞ্জন ছিল, ৬ তাঁর সৌভাগ্যসূচক সংখ্যা হওয়ায়, আজই মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী ই রাজিন্দর জানিয়ছেন, গত রবিবার হায়দরাবাদ শহরের বাইরে আয়োজিত প্রগতি নিবেদন সভার সাফল্য দেখে হুসনাবাদের জনসভার ব্যাপারে উতসাহিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজিন্দর বলেছেন, "হায়দরাবাদের সভার সাফল্য দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে, এধরনের সভা প্রতিটি বিধানসবা কেন্দ্রেই করা উচিত, যেখানে তেলেঙ্গানার মানুষের উদ্দেশে রাজ্য সরকার যে কাজ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরা যেতে পারে। "
হুসনাবাদ বিধানসভাকেন্দ্র সিদ্দিপেট ও করিমনগর জেলা জুড়ে বিস্তৃত। তার সদর শহর হুসনাবাদ কেসিআরের রাজ্যসফর শুরু পক্ষে সৌভাগ্যসূচক জায়গা বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র। কেসিআর তাঁর সমস্ত নির্বাচনী প্রচারই শুরু করেছেন সিদ্দিপেটের মন্দিরে পুজো দিয়ে। ৭ সেপ্টেম্বরেও তিনি শুরুতে মন্দিরে পুজো দিয়ে তারপরে জনসভায় ভাষণ দিতে যাবেন। ওই জনসভায় প্রায় ৫০,০০০ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।