কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার নিজের রাজ্য কেরলে লাগাতার প্রচার চালালেন শশী থারুর। বছর ৬৬-র থারুর যে এই প্রচারের লড়াই ছাড়তে নারাজ, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিল কেরল। শুধু বুঝিয়েই দিল না, বরং থারুরের প্রতি কংগ্রেস সমর্থকদের উচ্ছ্বাস এই লড়াইকে আরও জমিয়ে দিল বলা যায়। তা প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়গের মাথায় যতই গান্ধী পরিবারের হাত থাকুক না-কেন। তবে, গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেস যেন মণিহারা ফণী। সেটাও পদে পদে বুঝতে হল থারুরকে।
নিজের রাজ্য কেরলেই দলের প্রবীণ নেতারা সরাসরি খাড়গের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। সেটা স্বচক্ষে থারুরকে দেখতে হল। তবে, তাঁকে আশার আলো দেখালেন দলের যুব নেতা-কর্মীরা। যাঁরা থারুরের হয়ে ইতিমধ্যে গলা ফাটানো শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রবীণ নেতাদের এহেন খাড়গে প্রীতিকে অবশ্য খোলা মনেই নিয়েছেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ থারুর। তিনি বললেন, 'আমি দলের বড় নেতাদের থেকে সমর্থন আশা করি না। আমার সমর্থকদের অধিকাংশই দলের তরুণ নেতা ও কর্মী।'
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের প্রবীণ নেতাদের বেশিরভাগই নিজেদের গোষ্ঠীর স্বার্থেই খার্গের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখার পক্ষপাতী। তাই তাঁদের মুখে খাড়গের প্রতি সমর্থনের কথা শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রবীণ নেতাদের একাংশ খাড়গের চারপাশে ভিড় জমাতেও শুরু করেছেন। কারণ, তাঁরা ভালো করেই জানেন যে খাড়গের ওপর গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদ রয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামলিয়ে কেরলের এই নেতারা দীর্ঘদিনই পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি দক্ষিণের এই রাজ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেস যুব নেতা ও কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, এই নেতারা সময়ের সঙ্গে বদলে যান। রাহুল গান্ধী কেরলে 'ভারত জোড়ো' প্রচার চালানোর সময় এই নেতারা রাহুলের সঙ্গে সমানতালে প্রচারে অংশ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এজন্য নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলকে দূরে রাখতেও তাঁরা দ্বিধা করেননি।
আরও পড়ুন- ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার, কী এর বৈশিষ্ট্য
থারুরের ঘনিষ্ঠ মহলের অভিযোগ, এই প্রবীণ নেতাদের অন্যতম হলেন কেসি বেণুগোপাল। তিনি বর্তমানে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক। রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আর, কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতাদের অন্যতম। কেরল থেকে থারুরের উত্থান তাঁকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে বেণুগোপাল দিল্লিতে বসেই কেরলের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে খাড়গের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
Read full story in English