আবগারি দুর্নীতি মামলায় মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সিসোদিয়াকে গ্রেফতারের আগে তিহার জেলের মধ্যে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি কর্তারা। সিবিআই গ্রেফতারের পর থেকে সিসোদিয়া আপাতত তিহারেই রয়েছেন। সিবিআই বহুদিন আগে থেকে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার ধৃত সিসোদিয়াকে আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সির গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি টুইট করেছেন, 'মণীশকে প্রথমে সিবিআই গ্রেফতার করল। সিবিআই কোনও প্রমাণ পায়নি। তল্লাশিতে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। আগামিকাল জামিনের শুনানি রয়েছে। মণীশ আগামিকাল জামিন পেয়ে যাবেন। সেই জন্য আজ তাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছে। তাদের শুধু একটাই লক্ষ্য, মণীশকে যে কোনও মূল্যে ভিতরে রাখা। এজন্য প্রতিদিন নতুন ভুয়ো মামলা তৈরি করা হচ্ছে। জনগণ সব দেখছেন। মানুষ উত্তর দেবে।'
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর গ্রেফতারির পর দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন মণীশ সিসোদিয়া। রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সোমবার আপ নেতাকে ২০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিসোদিয়া অন্যতম অভিযুক্ত। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তারপর সেই নীতি বাতিল করে দিল্লি সরকার। আম আদমি পার্টি অভিযোগ করেছে, সিবিআই সিসোদিয়াকে 'মানসিকভাবে নির্যাতন এবং হয়রান' করছে। তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগ স্বীকার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিদেশের মাটিতে দেশকে ‘অপমান’, রাহুলের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন কংগ্রেস মন্ত্রীর ছেলে
গত বছর দায়ের করা সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গত মাসে, ইডি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছিল। তাতে দাবি করেছিল, দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব তৈরি করেছে। আর, এই আবগারি নীতির মাধ্যমে বেআইনি তহবিল সংগ্রহ করেছে।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, 'সিসোদিয়ার সচিব সি অরবিন্দ ইডির কাছে বিবৃতি দিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভার খসড়া রিপোর্ট তাঁকে ২০২১ সালের মার্চের মাঝামাঝি দেওয়া হয়েছিল। সিসোদিয়া তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে ডেকেছিলেন। সেখানে সত্যেন্দ্র জৈনও উপস্থিত ছিলেন।'