এবার পড়ুয়াদের মত স্কুলশিক্ষকদের জন্যও ড্রেসকোড বা উপযুক্ত পোশাকবিধি চালু করল অসম সরকার। হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন অসম সরকারের মনে হয়েছে, শিক্ষকরা অনেকসময় উপযুক্ত পোশাক পরে কর্মস্থলে আসেন না। তাই এবার এমন ফতোয়া। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুক্রবারই এনিয়ে অসম সরকার নির্দেশনামাও জারি করে দিয়েছে।
রীতিমতো কর্পোরেট সেক্টরের ঢঙে সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের হালকা রঙের আনুষ্ঠানিক পোশাকে স্কুলে আসতে হবে। যে কোনও পোশাক পরে স্কুলে আসা যাবে না। এনিয়ে যাতে আবার কথা না-হয়, সেই ব্যাপারেও সতর্ক অসমের শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি এনিয়ে লিখেছেন, 'স্কুল শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত ড্রেস কোড সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা আছে। আমি স্বচ্ছতার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছি।'
তাঁর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী পেগু বলেছেন, 'এটা লক্ষ্য করা গেছে যে কিছু শিক্ষক তাঁদের পছন্দের পোশাক পরা অভ্যেস করে ফেলেছেন। যা কখনও জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় না। যেহেতু একজন শিক্ষকের কাছ থেকে সব ধরনের শালীনতার উদাহরণ প্রত্যাশিত, বিশেষ করে তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময়। তাই এমন একটি ড্রেস কোড অনুসরণ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে যা কাজের জায়গায় সাজসজ্জা, শালীনতা, পেশাদারিত্ব এবং উদ্দেশ্যের গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটাবে।'
আরও পড়ুন- গোছানো শপথ অনুষ্ঠান, পিছনে চূড়ান্ত টানাপোড়েন, কর্ণাটকে ২৮-এর বদলে ৮ মন্ত্রীর শপথ
নির্ধারিত পোশাকবিধি অনুসারে, পুরুষ শিক্ষকদের শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক পোশাক পরতে হবে। সেটা হবে আনুষ্ঠানিক শার্ট-প্যান্ট অনুমোদিত পোশাক। মহিলা শিক্ষকদের 'শালীন সালোয়ার স্যুট, শাড়ি, মেখেলা চাদর' পরা উচিত। সেটা কোনও টি-শার্ট, জিন্স এবং লেগিংসের মতো নৈমিত্তিক পোশাক হবে না-বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুরুষ ও মহিলা, উভয় শিক্ষককেই 'পরিচ্ছন্ন, শালীন এবং হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। সেটা কখনও চটকদার দেখাবে না। ক্যাজুয়াল বা কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার পোশাক কর্মস্থলে কঠোরভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।