কংগ্রেস জিততেই উত্তপ্ত আগরতলা। কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে ধুন্ধুমার। লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা দুষ্কৃতীদের। ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। বিজেপির বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও এব্যাপারে গেরুয়া দলের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ত্রিপুরার উপনির্বাচনে গেরুয়া প্রতাপের মাঝেও পদ্মে কাঁটা আগরতলা। এই কেন্দ্র থেকে জয় পেয়ে ত্রিপুরায় ফের খাতা খুলেছে কংগ্রেস। খাস রাজধানীতেই জয় পেয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ রায়বর্মন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে ৩ হাজার ১৬৩ ভোটে হারিয়ে জয়ী সুদীপ।
তাঁর এই জয়কে আগরতলার মানুষের জন্যই উৎসর্গ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সহজ জয় পেয়েছেন মানিকও। ৬ হাজার ১০৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ভোটের ফল প্রকাশের পর মানিক সাহার সঙ্গে করদমদর্ন করতে দেখা যায় কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী সুদীপ রায়বর্মনকে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় হালে পানি পেল না তৃণমূল, জয়ী মানিক সাহা, আগরতলায় জয় কংগ্রেসের
এই দৃশ্যের খানিক পরেই আমূল বদলে যায় পরিস্থিতি। রাজধানী আগরতলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। লাঠি, বাঁশ নিয়ে একদল উন্মত্ত জনতা আগরতলায় কংগ্রেস কার্যালয়ের দিকে তেড়ে যায়। তাঁদের মোকাবিলায় জড়ো হয়ে যান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাও। দু'পক্ষের মধ্যে ইট, পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
এরই মধ্যে একদল-উন্মত্ত জনতা কংগ্রেসের দফতরে ঢুকে হামলা শুরু করে। রক্তাক্ত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ততক্ষণে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম দশা হয় পুলিশেরও। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই বিজেপি তাঁদের কার্যালয়ে হামলা চলিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া মেলেনি গেরুয়া শিবিরের তরফে।