বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস চত্বরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটেছিল ২১ জানুয়ারি। অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষুব্ধরা জড়ো হয়েছিল। চলছিল বিক্ষোভ। জেলা অফিসের ছাদ থেকে ইঁট-পাটকেল, কাঠের ভাঙা টুকরো ছোড়া হয়েছিল। তখন তুলকালাম কান্ড ঘটে। ওই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপি। এই ঘটনায় বর্ধমানের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জন বিজেপি নেতাকে কারণ দর্শনোর চিঠি ধরালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অভিযোগ সেদিন বর্ধমানের বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেই বিক্ষোভ হচ্ছিল। দলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সন্দীপ নন্দী-সহ বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায়, রবীন্দ্র গর্গ, গৌর মল্লিক, বিজয় ধারা, স্মৃতিকান্ত মন্ডল, পুস্পজিৎ সাঁই, নন্দন সিং, কেশব চন্দ্র কোনার, খোকন সেন, সাগ্নিক শিকদার, বিশ্বজিৎ দাস, লক্ষ্মীকান্ত দাস, উত্তম চৌধুরীকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের ৭দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে দল, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই দিন বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস চত্বর রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। মার পাল্টা মারে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির জেলা অফিসের ছাদ থেকে ইঁট, পাথর, পাটা নীচে ছোড়া হচ্ছে, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে। সেদিন গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অভিযোগ ওঠে, তখন পুলিশের ওপরও ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জেলা অফিসের সামনে জিটিরোডে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
সেদিন বিজেপি নেতৃত্ব ওই ঘটনার দায় চাপিয়েছিল তৃণমূলের ওপর। তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলেই পাটা দাবি করেছিল। এবার ২১ জানুয়ারির ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের ১৪ জন জেলা নেতাকে শোকজ করল। জেলা সভাপতি ছাড়া বাকি ১৩ জনও নেতৃত্ব স্থানীয়। এই শোকজের পর সেদিনের সংঘর্ষে অযথা তাদের জড়ানো হয়েছিল বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন