সোমবার বেলা বাড়তেই কলকাতায় বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের প্রভাব শুরু। উত্তর থেকে দক্ষিণ, দিকে দিকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ বিজেপি নেতা-কর্মীদের। যাদবপুর, বেহালা, খিদিরপুর, হাজরায় দফায়-দফায় অবরোধ-বিক্ষোভ। বড়বাজারে জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখেও সাময়িক অবরোধে বিজেপি কর্মীরা।
সকালের দিকে তেমন একটা প্রভাব না থাকলেও বেলা বাড়তেই শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় একাধিক এলাকায়। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এদিন রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বনধের সমর্থনে যাদবপুর, বেহালা, খিদিরপুরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
বেহালায় পথ অবরোধের চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা-ধস্তাধস্তি। কার্যত চ্যাংদোলা করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করেছে। অন্যদিকে, হাজরাতেও এদিন বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। দফায়-দফায় চলা বিক্ষোভের জেরে এদিন হাজরা মোড়ে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজে বেরিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- পুরভোট বাতিল চায় বিজেপি, কমিশনারকে গ্রেফতারের দাবি পদ্ম সাংসদের
উল্টোদিকে, বনধের সমর্থনে মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বড়বাজার চত্বরেও। বিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতের নেতৃত্বে এদিন বড়বাজারে বনধের সমর্থনে মিছিল বের হয়। জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। রাস্তায় শুয়েই এরপর প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানের কাছে নিয়ে যান মহিলা পুলিশকর্মীরা। শেষমেশ বিজেপি নেত্রীকে আটক করে পুলিশ। বিজেপ নেতা কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বেও এদিন বড়বজার চত্বরে মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা।
অন্যদিকে, হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখেও এদিন পথ অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার পরে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
একাধিক জেলায় এদিন বনধের প্রভাব পড়েছে। কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলিতে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংসদীয় এলাকা বালুরঘাটেও এদিন সকালে বনধের সমর্থনে পথে নামেন বিজেপি কর্মীরা। বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বনধের সমর্থনে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়েছেন বনধ সমর্থকরা।
হাওড়ার দাশনগরে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। হাওড়া-আমতা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বনধ সমর্থকদের। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও হাওড়ার ব্যাঁটরায় বনধের সমর্থনে পথ নামতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের।