রাজ্য পুলিশেই আস্থা কলকাতা হাইকোর্টের। পুরভোটে আসছে না কেন্দ্রীয় বাহনী। বিজেপির আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। রাজ্য পুলিশ দিয়েই আসন্ন পুরভোট পরিচালনা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। পুর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সবরকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য পুলিশ, এদিন হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের আইনজীবীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোটের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিজেপি। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। ভোটে আধাসেনা চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে বিজেপি। আগামিকাল কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকতায় পুরভোট। আসন্ন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিল রাজ্য বিজেপি। পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে পরিচালনার দাবি তুলে কলকাতা হাইোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এদিন বিজেপির সেই আর্জি নাকচ করে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে আসন্ন পুরভোট। আসন্ন পুরভোট শান্তিপূর্ণ করতে সবরকম ব্যবস্থা করেছে রাজ্য পুলিশ, এদিন আদালতে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী।
উচ্চ আদালত বিজেপির আবেদন নাকচ করলেও এই রায়কে সরাসরি তাঁদের আবেদন-খারিজ বলে মানতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শ্যামবাজারে এদিন দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ''এটা আপাত দৃষ্টিতে আবেদন খারিজ মনে হলেও, আসলে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করানো হলো।''
আরও পড়ুন- ১৯ ডিসেম্বরই হবে কলকাতা পুরভোট, স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট
পুরভাটে বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ভিত্তিহীন বলে মনে করেন তৃণমূলের মহাসচিব। আদালতের এই রায়ের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''ভিত্তিহীন দাবি, তাই হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। হালে পানি না পেয়ে কোর্টে যাচ্ছে। সেখানেও ওদের আবেদন খারিজ হলো।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন