সামনে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে একবছরও নেই। এই পরিস্থিতিতে এখনও একজোট হতে পারেনি বিরোধী দলগুলো। জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি থাকা দরকার। সেটাই এখনও তাদের হাতে নেই। শুধু বিভিন্ন দল পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করছে। হাতে যেন অঢেল সময়। সেই অলস ভঙ্গিমাতেই চলছে বৈঠক। আর, সেটাও দ্বিপাক্ষিক। সেই সব বৈঠকে সব বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা থাকছেন না।
বিভিন্ন মহলের মত, বিরোধীরা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই তীব্র করেছে। তার অন্যতম হল- বিরোধীদের লক্ষ্য করে এজেন্সিগুলোর অপব্যবহার, স্বায়ত্তশাসিত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের আক্রমণ, বিরোধীদের নীরব করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টা।
যার প্রেক্ষিতে বিরোধীরা সম্প্রতি বারবার একসুরে অভিযোগ করেছেন যে দেশের গণতন্ত্র বিপদে রয়েছে। বিরোধীদের এই সব অভিযোগ, সংসদের অভ্যন্তরে যেমন একসুরে শক্তিশালী স্লোগান হতে পারে। তেমনই সংসদের বাইরেও তা জনমানসে দারুণ প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী নেতাদের একাংশ বলতেও শুরু করেছেন, এখন সময় এসেছে একজোট হওয়ার। যাতে একত্রিতভাবে কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হয়। কারণ, বিরোধীরা বর্তমানে গৌতম আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রায় একসুরে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, লোকসভার সাংসদ হিসেবে রাহুল গান্ধীর রাতারাতি অযোগ্য ঘোষিত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন- রামনবমী ঘিরে সাম্প্রদায়িক আগুন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ব্যর্থ?
যেসব বিরোধী দলের নেতারা বিরোধী জোট চাইছেন না, তাঁদের বক্তব্য বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলগুলোর এজেন্ডা বিভিন্ন। তাছাড়া বহু রাজ্যেই বিরোধী দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চলেছে। এই অবস্থায় প্রতিপক্ষ বিরোধী দলগুলো একমঞ্চে উঠে এলে ভোটারদের কাছে দলগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাই তলানিতে ঠেকবে।
এই সব দলগুলোর আরও ধারণা, বিভিন্ন রাজ্যে আলাদাভাবে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা বিজেপির পক্ষে সহজ হবে না। বরং, বিরোধীরা একমঞ্চে থাকলেই কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ করাটা অনেক বেশি সহজ হবে।