- হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ।
- গুজরাট হাইকোর্ট তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করেছে।
- গুজরাট পুলিশ গত বছরের জুন মাসে তিস্তা শেতলবাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।
- তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি করার জন্য জাল প্রমাণ তৈরি করা হয়েছিল বলে তিস্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মানহানির মামলায় সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের জামিন নাকচ করে দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। গুজরাট হাইকোর্ট মুম্বইতে বসবাসকারী সমাজকর্মীকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্লিন চিট দেওয়ার পর তিস্তা শেতলবাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অপমানিত করার লক্ষ্যে এটি করেছিলেন। গুজরাট পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করার পরে ২৫ জুন, ২০২২-এ সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিরাট ধাক্কা খেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। হাইকোর্টে খারিজ জামিনের আবেদন। অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের। গুজরাট হাইকোর্ট তিস্তা শেতলবাদ জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, যিনি ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার মামলাগুলিকে অতিরঞ্জিত করেছিলেন সরকারের মানহানির লক্ষ্যে।
গুজরাট হাইকোর্ট ২০০২ সালের দাঙ্গার পরে গুজরাট সরকারের মানহানি করার জন্য প্রমাণ অতরঞ্জিত করার মামলায় অভিযুক্ত তিস্তা শেতলবাদের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। জামিনের আবেদন নাকচ করার পাশাপাশি তিস্তাকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত বছর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট তিস্তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় এবং তাকে এই মামলায় গুজরাট হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শনিবার (১ জুলাই) গুজরাট হাইকোর্ট তিস্তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত তিস্তার আবেদন নাকচ করে দেন। তাঁর আইনজীবী তাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি দেশাইয়ের বেঞ্চ তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গত বছর ২৫ জুন গুজরাট পুলিশ তিস্তাকে গ্রেফতার করে। তিস্তার বিরুদ্ধে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নিরপরাধ লোকেদের মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে এবং এর জন্য প্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগও রয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার পরে ২রা জুলাই তিস্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
গত বছর তিস্তাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল?
গত বছর, গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি করার সময়, সুপ্রিম কোর্ট কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ করে দেয়। গুজরাট দাঙ্গায় নিহত গিয়েছিলেন এহসান জাফরি। সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দেওয়ার সময় বলেছে যে জাকিয়ার আবেদনের কোনও যোগ্যতা নেই এবং তিস্তা শেতলবাদ এর জন্য দায়ী কারণ তিনি বারবার জাকিয়াকে নিজের সুবিধার জন্য আবেগগতভাবে ব্যবহার করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তিস্তা এই মামলা করেছেন যাতে তিনি এই মামলাটি দীর্ঘকাল বাঁচিয়ে রাখতে পারেন এবং এর থেকে লাভবান হতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, এ ধরনের ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ঠিক পরের দিন, তিস্তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ।
এদিন গুজরাট হাইকোর্ট তিস্তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে তিস্তাকে থানায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় গোধরা কাণ্ডের পর নরেন্দ্র মোদীর নামে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের মামলায় গত বছর জুনে তিস্তাকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।