কেন্দ্রীয় সরকার সমকামী বিবাহ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কিন্তু, বিরোধীরা নীরব। তারা বিষয়টি আদালতের কোর্টেই ছেড়ে দিয়েছে। বিরোধীরা চায় ৩৭৭ ধারার মতই সমকামী বিয়ে নিয়ে হস্তক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট। মোদী সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই বিষয়টি সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে নিজের মতামতও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে সরকার পাশে থাকায় ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করার আইন বাতিল করেছিল।
কংগ্রেস ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উৎসাহের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে, একইসঙ্গে অবশ্য সমকামী বিবাহ সম্পর্কে বেশ সতর্ক থাকতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এই ব্যাপারে তাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাওয়া হলে, কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, 'এটা এখন কোনও চিন্তা করার মত বিষয় নয়।' এর মধ্যেই অবশ্য কংগ্রেসের কিছু নেতা ব্যক্তিগতভাবে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, সমকামী বিবাহ একটি বিদেশি ধারণা। তাই এই জাতীয় বিষয়গুলো তাদের দলের এজেন্ডায় স্থান পায় না।
তবে, কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ এমন বহু দল আছে, যারা প্রকাশ্যেই সমকামী বিবাহকে সমর্থন করে। যেমন, সিপিএমের কথাই ধরা যাক না-কেন। এই ব্যাপারে সিপিএমের প্রবীণ নেত্রী বৃন্দা কারাট ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'আমরা সমকামী অংশীদারদের সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকারকে সমর্থন করি। আদালতকে অবশ্যই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কারণ, বর্তমান সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা এই ধরনের অধিকারকে সমর্থন করে না।'
আরও পড়ুন- কীভাবে ডুবল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক? কেন বিপদে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলো?
এর আগেও, সিপিএম এবং সিপিআইয়ের মত বামপন্থী দলগুলো সমকামী সম্পর্কের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিল। অপরাধের তালিকা থেকে এই সম্পর্কের মুক্ত হওয়াকে সমর্থন করেছিল। সেই সময়টা ছিল ২০০৯ সাল। তখন দিল্লি হাইকোর্ট প্রথমবার রায় দিয়েছিল যে দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সম্মতিমূলক মিলন অবৈধ নয়। এই সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনে আরও নয় বছর লেগেছে।