/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/09/nitish-modi-loksabha-poll-2024.jpg)
মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান না নীতীশ। তাই তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদবকে পাঠাচ্ছেন নীতীশ।
বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই চিল চিৎকার করে চলেছে, মোদী জমানায় দেশে বেকারত্ব সবচেয়ে বেড়েছে। কর্মসংস্থান তলানিতে ঠেকেছে। নিয়োগ প্রায় বন্ধ। শুধু বেসরকারিকরণ চলছে। সরকারি কর্মীরা কাজের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতদিন সেসব অভিযোগ এ কান দিয়ে শুনে ও কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্ত, সামনেই ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব কমানো নিয়ে নিজের ভূমিকাকে উজ্জ্বল করে দেখানো ছাড়া মোদী সরকারের হাতে কোনও রাস্তা নেই।
অথচ, সংঘ পরিবারের সব বেচে দেওয়ার নীতি থেকেও তিনি পিছু হঠতে পারবেন না। কারণ, এতদিন ধরে সংঘ পরিবারকে যে সব শিল্পপতিরা অর্থসাহায্য করে এসেছে, তাঁদেরকে চটানো মোদীর পক্ষে অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ফের পুরোনো ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে যেমন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পাঁচ বছরের ১০ কোটি বেকারকে চাকরি দেবেন বলেছিলেন। তবে, এবার তাঁর প্রতিশ্রুতিটা কোটি থেকে লক্ষে নেমে এসেছে। এমনটাই কটাক্ষ বিরোধীদের।
তবে এবার, প্রায় ১০ বছর আগের মত চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও, নতুন একটি বিষয়কে এই প্রচারের অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা হল, 'রোজগার মেলা'। এই রোজগার মেলা বা জব ফেয়ার, বর্তমান দুনিয়ায় বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু, সরকারি চাকরিতে এই শব্দের প্রয়োগ প্রথমবার। যা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মোদী জমানায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, এমন নিত্যনতুন শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়ে মোদীকে গিমিক তুঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। কারণ, বিজেপি মোদীকেন্দ্রিক দল। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায়। তার পরও দেখা গিয়েছে যে বিধানসভা নির্বাচন তো বটেই, এমনকী পুরনির্বাচনেও পর্যন্ত মোদীর নাম ব্যবহার করে প্রচারে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে আর্জি মানল আদালত, সুযোগ কাজে লাগাবে কেন্দ্র?
বিরোধীদের দাবি, এবার কিন্তু স্বয়ং মোদীর কাছেই ২০২৪-এ ফেরা কঠিন হয়ে গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ, 'অগ্নিপথ' এর মত প্রকল্প। যে প্রকল্প দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা সরাসরি কেড়ে নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে গোবলয়ের রাজ্যগুলোকে। যেখানে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানকে কাজে লাগিয়ে এতদিন সাফল্যের ম্যাজিক দেখিয়েছে বিজেপি।
বিরোধীদের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়ার প্রভাব বুঝতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমাচলপ্রদেশের মত বিজেপির শাসনে থাকা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প।
Read full story in English