/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/BJP-Campaign.jpg)
'রিওয়াজ বদল রহা হ্যায় (ঐতিহ্য পরিবর্তন হতে চলেছে)'। হিমাচল প্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন এনিয়েই গুঞ্জন চলছে। গত তিন দশকে এখানে একবার কংগ্রেস, একবার বিজেপি, এভাবে পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে। কিন্তু, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রিওয়াজ বা ঐতিহ্য ভাঙতে মরিয়া। তিনি টানা দ্বিতীয়বার এই পার্বত্য রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ১২ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে হিমাচল প্রদেশ।
তবে, মোদীর এই আহ্বানে দিল্লির বিজেপি নেতারা যতটা উচ্ছ্বসিত, হিমাচল প্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু ততটা উচ্ছ্বাস দেখাতে পারছেন না। কারণ, কংগ্রেস এখনও লড়াই ছাড়েনি। ক্ষমতায় থাকার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ রাজ্যবাসীর একটা ক্ষোভ জন্মেছে। তার ওপর হিমাচলপ্রদেশের রাজনীতিতে আপ ভালো মাত্রাতেই প্রবেশ করেছে। যা কমাতে পারে ভোটের ব্যবধান।
গেরুয়া শিবির এবারের নির্বাচনে ১১ বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। এনিয়ে চলতি সপ্তাহেই বহু ডামাডোল দেখেছে হিমাচল প্রদেশ। ওই ১১ বিধায়ক রীতিমতো বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। বাধ্য হয়ে বিদ্রোহীদের ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের হুমকি দেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই বিদ্রোহ থেকে রক্ষা পায়নি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নিজের জেলা মান্ডিও। সেখানে দলের মিডিয়া সহ-ইনচার্জ প্রবীণ শর্মা ঘোষণা করেছিলেন ভোটে লড়বেন। নির্দল হিসেবে মান্ডি সদর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন- ট্রাস সরতেই ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা, ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বরিস জনসন
আবার, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া নিয়েও হিমাচলপ্রদেশ বিজেপির বেশ কিছু নেতা নিজের দলের ওপরই বিরক্ত। নালাগড়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কেএল ঠাকুর বৃহস্পতিবার নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কারণ, দল কংগ্রেস ছেড়ে আসা বর্তমান বিধায়ক লখবিন্দর সিং রানাকে টিকিট দিয়েছে।
শুধু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াই না। তাঁর সমর্থনে বড় জনসভাও করেছেন কেএল ঠাকুর। জনসভার মূল বক্তব্য ছিল- 'মেরা কসুর কেয়া হ্যায় (আমার কী দোষ?)।' ধর্মশালায় আবার বিজেপির বর্তমান বিধায়ক বিশাল নাইহারিয়ার প্রায় ২০০ সমর্থক দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কারণ, কংগ্রেস ছেড়ে আসা রাকেশ চৌধুরিকে এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি।
Read full story in English