বিজেপিশাসিত ত্রিপুরার সরকারি বিজ্ঞাপনে শিয়ালদহ উড়ালপুলের ছবি। ড্রাইভিং আইনের জন্য স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ত্রিপুরা সরকার। সেই প্রতিযোগিতার জন্যই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই বিজ্ঞাপনেই শিয়ালদহ উড়ালপুল বা বিদ্যাপতি সেতুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবিতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে ট্রাম লাইন, বাস, ট্যাক্সি। বিজেপিশাসিত রাজ্যের সরকারি বিজ্ঞাপনে বাংলার ছবি দেওয়ায় তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের। ''বিজেপির রাজ্য সরকারগুলির নিজস্বতা নেই। বাংলার উন্নয়নকে নকল করছে।'' কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
বিজেপিশাসিত রাজ্যের সরকারি বিজ্ঞাপনে এরাজ্যের ছবি। ত্রিপুরায় ড্রাইভিং আইনের জন্য স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতার জন্য বিজ্ঞাপন দেয় ত্রিপুরা সরকার। অভিযোগ, সেই বিজ্ঞাপনেই শিয়ালদহ উড়ালপুল বা বিদ্যাপতি সেতুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্শোক বাড়তেই শনিবার সকালে টুইটটি ‘মাই গভ ত্রিপুরা’র হ্যান্ডেল থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরার সরকারি বিজ্ঞাপনে শিয়ালদহ উড়ালপুলের ছবি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেন, ''বিজেপির রাজ্য সরকারগুলির নিজস্বতা নেই। তাই বাংলার উন্নয়নকে নকল করছে। এর আগে এরাজ্যকে দেখে গোয়ায় দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হয়েছে। এবার ত্রিপুরায় উড়ালপুলের ছবি নকল করে বলছে আমাদের মডেল। যেসব বাইরের বিজেপি নেতারা বাংলায় ভোটের প্রচারে আসছেন তাঁদের তো লজ্জা হওয়া উচিত। হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। গোয়া হোক বা ত্রিপুরা- প্রমাণ হচ্ছে ওদের জনভিত্তি নেই। হারবে বিজেপি।''
আরও পড়ুন- এ মাসের শেষেই দার্জিলিং যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফেও সরকারি বিজ্ঞাপনে বাংলার সেতুর ছবি ব্যবহার করা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। ''বিজেপি ত্রিপুরা দাবি করছে যে এগুলো তাদের রাস্তা? ত্রিপুরায় কি কোনও সুসজ্জিত রাস্তা নেই? উন্নয়ন এই মাত্রায় অবহেলিত? বিজেপি বারবার বাংলার উন্নয়নমূলক কাজের মডেল চুরি করছে।'' টুইটে সমালোচনা ত্রিপুরা তৃণমূলের।
তৃণমূল কটাক্ষ করলেও গেরুয়া শাসিত ত্রিপুরা সরকারের হয়ে 'ব্যাট' ধরেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। উল্টে তৃণমূলেরই সমালোচনা তাঁর মুখে। শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ''কলকাতাকে সবাই খুব ভালোবাসে। মনে রাখতে হবে, ভুলবশত যে সব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনওটিই তৃণমূল সরকারের আমলে বাস্তবায়িত হয়নি।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন