মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA) সরকারে কোনও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা নেই, এমনই দাবি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের। বরং তাঁর সরকারকে অপদস্থ করতে যাঁরা এমন অভিযোগ তুলছেন তাঁদের উন্নয়নের কাজের মাধ্যমেই উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মধ্য মুম্বইয়ের ওয়াডালায় জিএসটি ভবন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ''মহারাষ্ট্রকে যাঁরা অপদস্থ করছেন তাঁদের এটা মনে রাখা উচিত, যে এই রাজ্যের দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় অবদান রয়েছে। এমভিএ সরকারে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা নেই। এটিই মহা বিকাশ আঘাড়ি, যাদের পা মাটিতে শক্তভাবেই রয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই রাজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছে এই সরকার।'' গত দু'বছরে এমভিএ সরকার প্রস্তাবিত সময়ের আগেই একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে বলে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি নেতৃত্বাধীন সরকার বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সেই অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। এব্যাপারে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর দফতরের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যদিও সেই প্রতিবেনটির মধ্যে কোনও সারবত্তা নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। বিরোধীদের সমালোচনা ও টিপ্পনির জবাব দিতে গিয়ে এদিন উদ্ধব ঠাকরে বেছে নিয়েছিলেন সরকারি ভবনের ভিত্তি প্রস্তরের মঞ্চকে।
ঠাকরে এদিন এই অনুষ্ঠানে বলেন, ''অনেকবার শুধু ঘোষণাই হয়, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। কিন্তু আমরা আজ থেকেই এই ভবন তৈরির কাজ শুরু করে দিলাম। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" তাঁর সরকার কাজের মাধ্যমেই বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনার জবাব দিয়ে যাবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মেঘালয়ে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হোক, রাজ্যসভায় দাবি তৃণমূল সাংসদের
এদিন জিএসটি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর করে মহরাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে রাজ্যের কোষাগারেও তহবিল প্রয়োজন। গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) রাজ্যের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং এটিকে শক্তিশালী করা উচিত।''
একইসঙ্গে নাম না করে এদিন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও বার্তা দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ''যাঁরা রাজ্যকে অপমান করছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত যে এই রাজ্যই জাতীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদানকারী। আমরা না থাকলে গোটা দেশের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।''
Read full story in English