কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে তিনি সর্বদাই ছিলেন আন্ডারডগ। তবুও লড়াই শেষ পর্যন্ত ছাড়েননি শশী থারুর। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ১,০০০-এর ওপর ভোট পেয়েছেন। যা বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁকে উপেক্ষা করা যাবে না। তাঁর পাওয়া এই ১২ শতাংশ ভোট বুঝিয়ে দেয় যে, কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের মধ্যে পরিবর্তনের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে। স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যে ক্ষোভকে এআইসিসি কুকারের বাষ্পের আকারে বের করে আনতে চাইছিল। যাইহোক। কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর যে লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
থারুর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন যে তাঁর পাওয়া হাজারের ওপর ভোট নেহাত কম না। কারণ, একথা ভুললে চলবে না যে দলের হাইকমান্ডের হাত ছিল খাড়গের মাথায়। তাই নানা চাপ উপেক্ষা করে যাঁরা ১,০৭২টি ভোট দিয়েছেন, তাঁরা রীতিমতো সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু, এর বেশি সাহস দেখানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব না।
থারুর যে ১,০৭২টি ভোট পেয়েছেন, তা এআইসিসির বিদ্রোহী জি-২৩ গ্রুপের বহু নামী নেতাকেও বিস্মিত করেছে। কারণ, তাঁদের সমর্থন ছাড়াই থারুর ওই ভোট পেয়েছেন। জি-২৩ এর তাই এখন থারুরকে উপেক্ষা করাও কঠিন। কারণ, তাঁরা থারুরের পিছনে থাকলে ফলাফল বদলেও যেতে পারত। কিন্তু, সেটা তাঁরা করেননি। সাংসদ থারুর যেটুকু ভোট পেয়েছেন, তার সবটুকুর জন্য তিনি নিজেই কৃতিত্বের দাবিদার।
আরও পড়ুন- জেলে পার্সেল বোমা আর গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৮, রক্তাক্ত প্রতিবেশী দেশ
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নটা বিশেষ করে উঠছে যে থারুরের ভূমিকা কী হবে? নেতৃত্ব কি তাঁকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করবে? অথবা তাঁকে দলে কিছু বিশেষ পদ দেবে? যাতে তাঁর বিরুদ্ধে জয়ের পরও খাড়গেরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়, সেটা বোঝানো যায়। কারণ, প্রচারকে ঘিরে সভাপতি নির্বাচন রীতিমতো তিক্ত হয়ে উঠেছিল। অনেকে আবার বলছেন যে লোকসভার নেতৃত্বে পরিবর্তন করা হতে পারে। থারুর কি তবে লোকসভায় দলের নেতা হিসেবে উদ্যমী অধীররঞ্জন চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হবেন?
Read full story in English