Haryana: কৃষক আন্দোলনের আবহেই হরিয়ানায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি এবং আইএনএলডি। । পদ্ম শিবির এবং ওম প্রকাশ চৌতালার আইএনএলডি থেকে তিন নেতা যোগ দিলেন কংগ্রেসে। নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কুমারি শৈলজার নেতৃত্বে এই যোগদান পরব সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, যারা এদিন জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলেছেন, তাঁরা বিজেপির বিদ্রোহী মুখ পবন বেনিওয়াল, শিল্পপতি অশোক গয়াল এবং প্রাক্তন সাংসদ তারা সিংয়ের ছেলে কানোয়ালজিত সিং।
২০১৪-এর বিধানসভা ভোটের আগে বেনিওয়াল আইএনএলডি ছেড়ে বিজেপিত্ব যোগ দিয়েছিলেন। সেই বছর এবং ২০১৯ সালে ইলানাবাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বেনিওয়াল। প্রতিবারেই পরাজিত হয়েছেন তিনি। এদিকে, ইলানাবাদের বিধায়ক অভয় চৌতালা সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তাঁর বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। সেই আসনে উপনির্বাচন ঝুলে রয়েছে। পাশাপাশি বিজেপিতে প্রাধান্য পেলেও চলতি বছর এপ্রিলে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিজেপির সদস্যপদ ত্যাগ করেন। উপনির্বাচনে সম্ভবত কংগ্রেসের টিকিটে ইলানাবাদ আসনে লড়বেন বেনিওয়াল।
অপরদিকে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল বা আইএনএলডি-র দীর্ঘদিনের নেতা করণজিতও এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বাবা তারা সিং দশম লোকসভায় সাংসদ ছিলেন।
এদিকে, গত মাসে হরিয়ানার কারনালে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে কৃষকদের বিক্ষোভ আর তাঁদের উপর লাঠিচার্জের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন মহকুমা শাসক। ২৮ অগাস্টের ঘটনায় বহু কৃষক গুরুতর আহত হন। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে শোনা গিয়েছে, মহকুমা শাসক আয়ুশ সিনহা পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, “যেই বিক্ষোভ দেখাতে আসুক, মেরে মাথা ফাটিয়ে দাও!” এই মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার একদিন পর এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা।
রবিবার চৌটালা জানিয়েছেন, “এমন মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন আইএএস অফিসার কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।” এমনটাই সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। শনিবার কারনালে কৃষকদের বিক্ষোভের সময় ২০১৮ সালের ব্যাচের এই আইএএস আয়ুশ সিনহার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তিনি পুলিশ কর্মীদের নির্দেশ দেন, বিক্ষোভকারীদের মারার জন্য আর কেউ জন্য নিরাপত্তা বলয় ভেঙে না ঢোকে। ঢুকলেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এই আমলা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন