আমফান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ১০০ জনকে শোকজ করার পর ২৫ জনকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করে চমকে দিয়েছিল নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যে ব্লক স্তরে এভাবে এত সংখ্যক নেতা-নেত্রীকে শোকজ বা সাসপেন্ড করার নজির খুব একটা নেই। এবার হাওড়ায় আমফান ত্রাণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির এক সভাপতি ছাড়া আরও দুই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলীয় স্তরে তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত।
আরও পড়ুন- মুকুল-বাবুলের রিপোর্ট কার্ডে রাজ্য ডাহা ফেল, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের
আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ভুয়ো নাম নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। রাজ্যে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত গ্রামপঞ্চায়েতগুলিতে বিক্ষোভ চলছিল। এরই মধ্যে গুটি কয়েক বিজেপি পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্নীতি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চাপান-উতর শুরু হয়ে যায়। দুটি ক্ষেত্রেই ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণেরও অভিযোগ ওঠে। মূলত অভিযোগ উঠছে, অনেক জায়গায় পঞ্চায়েতের কর্তারা নিজেদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সহ একাধিক মানুষের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন। যাদের পাকা বাড়ি আছে তাঁদের অনেকেই আমফান ত্রাণের টাকা পেয়েছেন। টাকা পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষ। এভাবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। হাওড়ায় সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মাকড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উত্তর ঝাঁপড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ ৫ নেতাকে শোকজ করেছিল তৃণমূল। শুক্রবার তিন নেতাকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।
আরও পড়ুন- তৃণমূল সদস্যরা লুটেপুটে খাচ্ছে, মানলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়
শুক্রবার রাজ্য়ের মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু ও উত্তর ঝাঁপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন এরা সাসপেন্ড থাকবেন। পদত্যাগ না করলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড়গাছিয়া ২ নং অঞ্চল প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর ১ নং অঞ্চলের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে বলেও হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন