Anti-BJP front: এখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের কোনও অস্তিত্ব নেই। বুধবার শরদ পাওয়ারকে পাশে রেখে এই মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই কংগ্রেসের একটা নেতৃত্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব। এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ বিজেপি-বিরোধী জোট গঠন প্রয়োজন। এমন দাবি করেও হাত শিবিরের একটা অংশের মন্তব্য, ‘কংগ্রেস ছাড়া সেই জোট প্রতিষ্ঠা পাবে না।‘
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘এখন বিরোধী ঐক্য প্রদর্শনের সময়। কিন্তু কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ, আত্মা ছাড়া শরীর।‘ বুধবারই তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাগলের প্রলাপ বকছেন। উনি জানেন না ইউপিএ কি? মমতা ভাবছেন সারা দেশ উনার নাম জপ করছেন। কিন্তু ভারত মানে শুধু বাংলা নয়, তেমন বাংলা নিয়ে শুধু ভারত নয়।‘
এদিকে, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৩০০ আসন পেতে পারে বলে আমার অন্তত মনে হচ্ছে না’, দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে মন্তব্য গুলাম নবি আজাদের। জম্মু কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০-এর অবলুপ্তি নিয়ে এই মন্তব্যে খানিকটা দলের বিড়ম্বনাই বাড়ালেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তাঁর মতে, ‘বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারই বিষয়টির পুনরুদ্ধার করতে পারে। তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারই ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে, তাই এটির পুনরুদ্ধার তাঁরা করবেন না’, পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি এলাকায় একটি সমাবেশে এই মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।
উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই মোদী সরকারকে তুলোধনা করে ময়দানে কংগ্রেস। জম্মু কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলোপের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কংগ্রেস বরাবর বলে আসছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলেই কাশ্মীরের ‘হারানো’ মর্যাদা ফেরানো হবে।
উপত্যকারই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। প্রায়শই এব্যাপারে তাঁকেও উপত্যকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। পুঞ্চের একটি সমাবেশে জম্মু কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলোপ নিয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন