গোটা রাজ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' প্রশংসা কুড়োচ্ছে। এবার নিজেই ফেসবুকে 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুক বার্তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে ডায়মন্ড হারবারের মানুষ সব সময় সাহায্য করে গিয়েছেন। আমি ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।''
রাজ্যে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই এবার গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তারই মধ্যে 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' শুরু করে দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেই উদ্যোগের সুফল মেলে হাতেনাতে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতেরর পরিসংখ্যান বলছে, ডায়মন্ড হারবারে একদিনে করোনার পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। সংক্রমণের হার সেখানে মাত্র ২.৮২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে শুরু হয়েছে 'ডক্টর অন হুইলস' পরিষেবা। করোনা মোকাবিলায় এ এক অভূতপূর্ব কর্মসূচি। এছাড়াও সাংসদের উদ্যোগে ব্লকে ব্লকে, পঞ্চায়েতে, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। চালু হয়েছে টেস্টিং অন হুইলস পরিষেবাও। রাস্তায় চলছে মাস্ক বিলি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এড়াতে এলাকার দোকান-বাজার বন্ধ থাকছে নির্দিষ্ট দিন মেনে। সাংসদের পরামর্শ মেনেই চলছে এই কাজ।
আর এতেই মিলেছে সুফল। ডায়মন্ড হারবারে একদিনে করোনার পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা নিজেও এই পরিসংখ্যানে যথেষ্ট খুশি। ফেসবুক বার্তায় করোনা মোকাবিলায় পাশে থাকার জন্য ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- বাংলায় একধাক্কায় অনেক কমল দৈনিক সংক্রমণ এবং পজিটিভিটি রেট
মহামারী ছড়িয়ে পড়া রুখতে দিন কয়েক আগেই অভিষেক বলেছিলেন, আপাতত দু'মাস সব কিছু বন্ধ থাকা উচিত বলে তাঁর মত। যদিও সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত ছিল বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়। খোদ তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অভিষেকের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। পরে বিতর্ক আরও বাড়লে আসরে নামতে হয় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখনও সেই বিতর্কের রেশ কাটেনি।