জয়প্রকাশ দাস
তৃণমূল কংগ্রেসে কি অভিষেক জমানা শুরু হয়ে গেল?
মিছিল থেকে মঞ্চ সর্বত্র অভিষেকের ছায়া। যাকে বলে অভিষেকময়। মিছিল জুড়ে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ছবি ও মুখোশ। তার তুলনায় তৃণমূল সুপ্রিমোর ছবি ছিল অনেকটাই কম।
পেট্রোল, ডিজেল ও গ্য়াসের মূল্য়বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার যাদবপুর থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। মিছিলের শুরু থেকে পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটেছেন তৃণমূলের যুবরাজ। সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী, সাংসদরা। মিছিলে যত ব্যানার ছিল, লক্ষ্য়ণীয় ভাবে সে সব ব্য়ানারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ছবি ছিল অনেক কম। একাধিক তৃণমূল কর্মীকে দেখা গিয়েছে অভিষেকের মুখোশ পরে হাঁটতে। তাহলে কি ঘাসফুলের মালিকানা ধীরে ধীরে অভিষেকের হাতে উঠতে চলেছে? তারই কি ইঙ্গিত ছিল এদিনের মিছিল?
শুধু ছবি বা মুখোশ নয়, অভিষেক বন্দনা দেখা গেল মিছিল শেষের ভাষণেও। হাজরা মোড়ে ম্যাটাডোরের উপর থেকে যে সভা হল, সেখানে ঘোষক থেকে নেতা, সবার মুখেই ছিল অভিষেকের নাম। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এদিনের বক্তব্যে কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মীর মিছিলকে মুখ ফসকে ‘প্রাগৈতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেন। মদন বলেন, তিনি নেতাজি সুভাষের মিছিল দেখেননি, দেখলেন অভিষেকের মিছিল।
অভিষেক তাঁর বক্তব্যে বার্তা দিতে চাইলেন তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গেই আছেন। মঞ্চ না বাঁধার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বললেন, তাতে রাস্তা আটকাতে হত, সমস্যায় পড়তেন সাধারণ মানুষ। অভিষেক বলেন, ‘‘আপনারাও কর্মী, আমিও কর্মী, আপনারাই দলের সম্পদ।’’
তবে নিজেকে সাধারণ মানুষের পর্যায়ে ফেলতে চাইলেও, গ্রীষ্মের খরতাপে মিছিল করার সময়ে অনভ্যস্ত অভিষেককে বারবার নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে রুমাল চেয়ে ঘাম মুছতে হয়েছে। সম্প্রতি মমতার নির্দেশে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন অভিষেক। জঙ্গলমহলে দলের খারাপ ফলের পর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে পাঁচ কথা শুনতেও হয়েছে দলের যুবরাজকে। তার পর থেকেই সক্রিয়তা বেড়েছে তাঁর।