Goa Poll 2022: বাংলায় ধুমধাম করে চালু হয়েছে ১০ লক্ষ ক্রেডিট মূল্যের স্টুডেন্ট কার্ড। মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষা সুনিশ্চিত করতে মমতা সরকারের এই ভাবনা। তবে সরকারের গ্যারান্টিতে হাতে পাওয়া এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবে স্কুল পড়ুয়ারাও। সেই পথে হেঁটে এবার গোয়ার যুবকদের জন্য যুবশক্তি কার্ডের ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের। চলতি বছরেই পশ্চিমের এই ছোট রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই গোয়ার যুব ভোটারদের কাছে টানতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাবদ তৃণমূল এবং তার শরিক মহারাষ্ট্র গো মন্ত্রক পার্টি এই যুবশক্তি কার্ডের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে। ২০ লক্ষ টাকার ক্রেডিটে ৪% সুদে এই কার্ড হাতে পাবেন রাজ্যের যুব ভোটাররা। অর্থাৎ ১৮-৪৫ বছর বয়সী ভোটারদের জন্য এই ক্রেডিট কার্ডের ঘোষণা। এখানেও গ্যারান্টার থাকবে রাজ্য সরকার।
রবিবার এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন গোয়ার তৃণমূল নেতা কিরণ কান্দোলকর। তাঁর মন্তব্য, ‘রাজ্যের জনসংখ্যার অর্ধেক যুব সম্প্রদায়। ১৮৪৫ বছর বয়সীদের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ লক্ষ। অনেক সময় তাঁর অর্থাভাবে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন না। অনেক সময় তাঁদের পরিবার সম্পত্তি বন্ধক রেখে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করে। এভাবেই রাজ্যের অনেক পরিবারের কাছে সন্তানদের পড়ার খরচ বোঝা হয়ে উঠছে। কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড হাত থাকলে কোনও ব্যক্তি গ্যারান্টার লাগবে না। সরকার হবে গ্যারান্টার।‘
তৃণমূল সুত্রে খবর, উচ্চশিক্ষা বা ব্যবসা দাঁড় করাতে এই প্রকল্প কার্যকর করা হবে। দলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে বলেছেন, ‘এই ক্রেডিট কার্ড নিলে কোনও শর্ত মানতে হবে না। কোথা থেকে উচ্চশিক্ষা নেবেন বা কোথায় ব্যবসা চালু করবেন? গোয়ায় থেকে এই বিভ্রান্তি ছড়াবে না।‘ অর্থাৎ গোয়া, কিংবা ভিনরাজ্যে থেকেই এই কার্ডের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ নিতে পারবেন রাজ্যের যুবকরা। এমনটাই জানান সাকেত গোখলে।
এদিকে, গোয়ার সঙ্গে ত্রিপুরাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ফের ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের ঝটিকা সফরের প্রথম দিনে ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ”বিপ্লব দেব দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আমাকে জব্দ করতে গিয়ে ভগবানকেও ছাড়ছে না। ত্রিপুরায় তৃণমূল বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।” রবিবার আগরতলার চতুর্দশা মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি এমনই বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পরেই পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় নজর তৃণমূলের। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে আইনের শাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ বাংলার শাসকদলের। তবে ত্রিপুরায় সংগঠন সাজাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এর আগেও অভিষেকের ত্রিপুরা সফরে তুমুল অশান্তি হয়। একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করার কাজে প্রতিনিয়ত ‘বাধা’ আসছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল নেতৃত্বের। ত্রিপুরায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তবে আক্রমণ হলেও লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ত্রিপুরায় ছাড়া হবে না বলে ফের একবার হুঁশিয়ারি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন