আপাতত স্বস্তি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। ভোট পরবর্তী মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার পারবে না সিবিআই। তবে এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকরোর্ট। তহে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তেও সবরকম সহযোগিতা করতে হবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার ৩ ফেব্রুয়ারিই অনুব্রত মণ্ডলকে দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ক্যাম্পে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই নোটিশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। শেষমেশ উচ্চ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- রাজ্যের কোন কোন পুরসভায় ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি? দেখুন একনজরে…
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি এদিন বলেন, ''বিচার ব্যবস্থা যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই শিরোধার্য। তবে বাংলার শাসক দলের নেতাদের সবসময় কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষা পেতে হচ্ছে। তদন্ত হোক, সব জানা যাবে। বাংলা আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। কেন্দ্র অসৎ উদ্দেশ্যে সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগাচ্ছে। তবে সবক্ষেত্রে এই অভিযোগ খাটে না। অন্তত ভোট পরবর্তী হিংসা, বালি চুরির মতো ঘটনাতে তো নয়ই।''
অন্যদিকে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও অনুব্রতকে খোঁচা দিয়ে এদিন বলেন, ''এসএসকেএম বা কোর্টের রক্ষাকবচ, এই দু'টোর একটা দরকার ছিল। তার একটি আজ পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। দুর্নীতিমুক্ত অথচ তৃণমূল নেতা এটা অসম্ভব। বাংলায় তৃণমূলের আমলে দুর্নীতির শিকড়ে অনেক গভীরে। এটা সকলে জানেন।''