নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালন ঘিরে ধুন্ধুমার ভাটপাড়ায়। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। বোমাবাজি, গুলিচালনারও অভিযোগ। বিজেপি সাসংদ অর্জুন সিংকে ঘিরে চলে ধস্তাধস্তি। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে এলাকায় গন্ডগোল পাকিয়েছেন অর্জুন, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। শাসকদলের মদতেই যাবতীয় অশান্তি, পাল্টা তোপ বিজেপি সাংসদের।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপি সাসংদ অর্জুন সিংকে। অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিংও।
অভিযোগ, সেই সময়েই এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ অর্জুন সিং এলাকায় গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। যদিও গেরুয়া দলের সেই অভিযোগ উড়িয়েছে শাসকদল।
আরও পড়ুন- ‘মোদির মূর্তি চেঁচে বাইরে ফেলে দিয়ে অন্য মূর্তি বসিয়ে দেব’, হুমকি মদন মিত্রের
এদিন সাংসদকে বাঁচাতে তাঁকে কার্যত ঘিরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় তৃণমূল কর্মীদের। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চলে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত হিমশিম দশা হয় পুলিশের। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।
তৃণমূলই এলাকায় অশান্তি পাকিয়েছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। যদিও সাংসদের সেই দাবি উড়িয়েছে স্থানীয় শাসকদলে নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এদিন বিজেপি কর্মীরাই বোমাবাজি করে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
পরে ভাটপাড়ায় গিয়ে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিবলেন, 'আবার প্রমাণ হল যে বাংলায় গণতন্ত্র নেই। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। পুলিশ সাংসদকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আজ তৃণমূলের ছোড়া গুলি অর্জুন সিংয়ের এক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীর কানের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখছে সাংসদের সুরক্ষার সঙ্গে আপোস হচ্ছে। ফলে কেন্দ্রীয় রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়েছে।'