বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের ধুন্ধুমার, মারামারি। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় শুভেন্দুকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রীর দাবি, পরিকল্পনা করে বিধানসভায় অশান্তি করেছে বিজেপি। রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না বিরোধীরা।
Advertisment
প্রসঙ্গত, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের জেরে সোমবার বেনজির তুলকালাম অবস্থা বিধানসভায়। হাতাহাতি, মারামারিতে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়করা। পোশাক ছিঁড়ল বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার। আহত গেরুয়া দলের ৮ থেকে ১০ জন বিধায়ক। উল্টোদিকে, নাক ফেটেছে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের। আহত বিধায়কের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা তাঁকে আঘাত করেছেন, চশমা ভেঙে দিয়েছেন।
এ দিন শুরুতেই বগটুইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সভায় ২ ঘন্টা আলোচনার আনুরোধ করেন পদ্ম বিধায়করা। আইন মেনে আলোচনার কথা বলে বিরোধী বিধায়কদের দাবি খারিজ করে দেন স্পিকার। এরপরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের চেয়ারও ঘিরে ধরেন তাঁরা। মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীদের সুরক্ষার কথা বলে বিক্ষোভকারী বিধায়কদের সরে যেতে বলছিলেন স্পিকার।
অভিযোগ, সে সময় তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ওই জায়গায় চলে আসেন। শুরু হয় শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের হাতাহাতি। একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন উভয় দলের বিধায়করা।
এদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, "এ রকম গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা আগে কোনও দিন দেখিনি। এই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এ রকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা দেখিনি কখনও।"