নদিয়ায় বিষমদকাণ্ড নিয়ে এবার পারদ চড়ল রাজ্য রাজনীতিতে। লোকসভা ভোটের আগে আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ভেজাল মদ বিক্রি করে টাকা রোজগার করছে তৃণমূল, এমন অভিযোগই তুলেছে বিজেপি। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে এ ইস্যুতে পাল্টা সুর না চড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোর দিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার শান্তিপুর রওনা দেন তৃণমূল ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে নদিয়ায় বিষমদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে আরও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি।
শুক্রবার শান্তিপুরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীর নেতৃত্বে একটি দল। বিষমদকাণ্ড প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘‘যেসব রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি রয়েছে, সেখানে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাহলে কেন পশ্চিমবঙ্গে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে না তৃণমূল সরকার?’’ এ রাজ্যে মদের রমরমা কারবার নিয়ে শাসকদলকে বিঁধে কৈলাশ বিজয়বর্গী বলেন, ‘‘এটা সরকারের পুরোপুরি ব্যর্থতা। যদি বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে বেআইনি মদ এ রাজ্যে সরবরাহ করা হচ্ছিল, তাহলে তা প্রশাসন ঠেকাতে পারল না কেন? অন্য রাজ্যকে দোষারোপ না করে যদি ওরা আসল অপরাধীদের খোঁজে, তবে দেখা যাবে অর্ধেকজনই তৃণমূলের।’’
আরও পড়ুন, নদিয়ায় বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২, জারি পুলিশি তল্লাশি
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিজয়বর্গী আরও বলেন, ‘‘মদ বিক্রি হল তৃণমূলের টাকার উৎস। যেসব দোকানের লাইসেন্স রয়েছে তারা সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছে আর যাদের নেই তারা দলকে দিচ্ছে। এজন্যই এ রাজ্যে বেআইনি মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে।’’
শুক্রবার বিজেপির পাশাপাশি শান্তিপুরে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। যদিও বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও জবাব মেলেনি শাসকদলের থেকে। নদিয়ায় তৃণমূলের প্রধান তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বাংলার মানুষের পাশে সবসময় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তদের পরিবারকে আমরা সবরকম সাহায্য করছি।’’
অন্যদিকে, নদিয়ায় বিষমদকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগে এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Read the full story in English